প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:২১ পিএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০২ পিএম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থানের যুগে নীতিনির্ধারকদের নতুন করে ভাবতে হবে। ছবি : সংগৃহীত
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরি দখলে নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির নতুন একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে বেকার করে দেবে। মানুষ দ্রুত ফল পেতে এবং কাজকে সহজসাধ্য করতে নির্ভর করবে এই প্রযুক্তির ওপর। ফলে কাজ হারাবে মানুষ।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সার্বিক এক অসমতাকে আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। নীতিনির্ধারকদের উচিত, প্রযুক্তিকে আরও সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টি করা থেকে রোধ করতে সংকটজনক প্রবণতা মোকাবিলা করা। কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা যেভাবে বিস্তার লাভ করছে তাতে এর সুবিধা ও ঝুঁকিগুলো সামনে আসছে।
এআই কর্মক্ষেত্রের বিরাট একটি অনুপাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। উন্নত অর্থনীতিতে তা হতে পারে শতকরা ৬০ ভাগ পর্যন্ত। এর মধ্যে অর্ধেক কর্মী এআইয়ের সুবিধা ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারেন। তাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
অন্য ক্ষেত্রগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ওইসব কাজ করতে সক্ষম হবে, যা বর্তমানে মানবজাতি সম্পন্ন করে। এর ফলে শ্রমক্ষেত্রে চাহিদা কমে যাবে। বেতন বা মজুরি কমে যাবে। কাজ হারাবে মানুষ। আইএমএফ তার প্রক্ষেপণে আরও বলেছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে শতকরা প্রায় ২৬ ভাগ কর্মক্ষেত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে প্রযুক্তি।
আইএমএফপ্রধান বলেন, এসব দেশে কৃত্রিম প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা নেওয়ার মতো অবকাঠামো বা দক্ষ জনশক্তি নেই। এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে বিভিন্ন দেশের মধ্যে অসমতা দেখা দেবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গ্রহণ করার ফলে উচ্চ আয়ের এবং যুব শ্রেণির কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হতে পারে বৈষম্যমূলকভাবে। আইএমএফ বিশ্বাস করে এক্ষেত্রে পিছে পড়ে যেতে পারেন কম আয়ের মানুষ ও বয়স্ক কর্মীরা।
সূত্র : বিবিসি