প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৯ পিএম
বিপিএর ‘নাজিফা পোলট্রি ফিড অ্যান্ড মেডিসিন’ নামে ডিম ও মুরগির পাইকারি আড়তের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রবা ফটো
খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি মুরগি ও ডিম এনে আড়তে বিক্রি করে বাজারে মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেট ভাঙতে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সহায়তা করবে। নতুন এ উদ্যোগ এক দিকে খামারিরা উপকৃত হবে। অপরদিকে ক্রেতারাও ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাবে বলে প্রত্যাশা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম শফিউজ্জামান।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর শনির আখড়ার গোবিন্দপুর বাজারে বিপিএ’র ‘নাজিফা পোলট্রি ফিড অ্যান্ড মেডিসিন’ নামে ডিম ও মুরগির পাইকারি আড়তের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ.এইচ.এম শফিউজ্জামান এসব কথা বলেন। বিপিএ’র সভাপতি মো. সুমন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান। সেখানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বিপিএ’র উদ্যোগে সরকার ঘোষিত ন্যায্যমূল্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পোল্ট্রি ফিড, ডিম ও মুরগি সরাসরি খামারি এবং পাইকারি আড়তের মাধ্যমে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে এ সব আড়ত থেকে।
এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, আড়তে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করা হবে ১২০ টাকায়। যেখানে বাজারে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হবে ১৭৫ টাকা কেজিতে। বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এসব আড়ত থেকে খামারি ও ভোক্তা উভয়েই উপকৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, পোলট্রি মুরগি ও ডিমের দাম অনেক ক্ষেত্রে হঠাৎ করে বেড়ে যায়। আমাদের ত্রুটিপূর্ণ বিপণন ব্যবস্থার কারণে একই পণ্য বিভিন্ন হাত বদলের মাধ্যমে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। বিভিন্ন ফড়িয়া বা মধ্যসত্ত্বভোগীরা সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। এই কার্যক্রমের ফলে প্রান্তিক খামারিগণ সরাসরি এখানে তাদের খামারে উৎপাদিত ডিম ও মুরগি বিক্রি করার সুযোগ পাবে। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম থাকবে না। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাজারগুলোতে সিন্ডিকেট বিপণন ব্যবস্থা ভেঙে যাবে।
সুমন হাওলাদার বলেন, মুরগি ও ডিম বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ন্যায্যমূল্য বাস্তবায়নে অ্যাসোসিয়েশনে কাজ করবে। যৌথ উদ্যোগে এসব আড়তের মাধ্যমে আমরা বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং ডিম ও মুরগির বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছি। বিপিএ’র অর্থায়নে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদন করে খামারিদের ন্যায্যমূল্যে দেওয়া হবে। খামারিদের উৎপাদিত ডিম ও মুরগি ভোক্তা এবং পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের কাছে সরাসরি সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিপিএ’র ‘নাজিফা পোলট্রি ফিড অ্যান্ড মেডিসিন’ নামের ডিম ও মুরগির পাইকারি আড়ত ছাড়াও পর্যায়ক্রমে রাজধানীর কাপ্তান বাজার, তেজগাঁও বাজার, কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার, উত্তরা, মিরপুর, খিলক্ষেত, রামপুরা ও বাড্ডাসহ মোট ১০টি স্থানে আড়ত করা হবে। পরবর্তীতে দেশের বিভাগীয় শহর ও জেলা পর্যায়ে আড়ত করা হবে।