প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫২ পিএম
প্রবা ফটো
বেশ কয়েক মাস ধরেই নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। তাই ব্যাংকগুলো ঋণ কম দেওয়ার কৌশল নিয়েছে এবং ব্যবসায়ীরাও কম ঋণ নিচ্ছেন। ফলে, সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি বেশ কমেছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, আগস্টে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, অক্টোবরে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নভেম্বরে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
ব্যাংকাররা বলছেন, গত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণের নিট প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের কম। দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলে এই ঋণের প্রবৃদ্ধি হতো ১৫ শতাংশের বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এখন ক্যাপিটাল গুডস ও ক্যাপিটাল ‘র’ ম্যাটেরিয়াল আমদানি কম। এখন বেসরকারিখাতে যে ঋণগুলো যাচ্ছে তার বেশিরভাগই কনজুমার গুডস ইম্পোর্ট ব্যয় মেটানোর জন্য।’
তিনি বলেন, ‘গ্রাহক পর্যায়ের ঋণের সুদহার প্রতিমাসেই বাড়ছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার পলিসি রেট চলতি অর্থবছরে কয়েকবার বাড়িয়েছে। ব্যাংকগুলো বেশি রেটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য নিচ্ছে, এছাড়া গ্রাহক পর্যায়েও সুদহার বাড়ায় গ্রাহকদের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কমছে।’
চলতি জানুয়ারিতে গ্রাহক ঋণের সুদহার হবে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অথচ জুনে এ হার ছিল ১০ শতাংশের মতো। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মানি সাপ্লাই কমাতে সংকোচনমূলক ধরা অব্যাহত রাখবে তারা। ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ প্রকাশিত অক্টোবরে দেশের মূল্যস্ফীতি রয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ বিবেচনা নিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বরাবরের মতোই নতুন মুদ্রানীতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মূল্যষ্ফীতি। এজন্য মুদ্রানীতির ভঙ্গিমা আরও সংকোচনমুখী করা হচ্ছে। ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ আরও কমে যেতে পারে। এতে ঋণের সুদহার আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।