প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৭ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৯ পিএম
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
২০২৩ সালে ৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে রাষ্ট্রীয় সোনালী ব্যাংক। কিন্তু ব্যাংকের পরিচালন ব্যয়, ঋণের বিপরীতে প্রোভিশন এবং সরকারি ট্যাক্স হিসাব করা হয়নি। খরচ বাদ দিয়ে মূলত নিট মুনাফা হিসাব করা হয়। খরচ বাদ দিলে ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা কিছুই থাকবে না। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ডেফারেল বা প্রভিশন রাখতে অতিরিক্ত সময় নিয়েছে সোনালী। অর্থাৎ খেলাপির বিপরীতে এসব প্রভিশন রাখার পর নিট মুনাফার বিপরীতে লোকসানে পড়বে ব্যাংকটি।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম।
সোনালী ব্যাংক থেকে সরবরাহকৃত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ২০২৩ সাল শেষে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৩২ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে ব্যাংকটি। এরমধ্যে এক লাখ ৮০৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী এডভান্স ডিপোজিট রেশিও দাঁড়ায় ৬৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ।যা আগের যেকোনো বছরের তুলনায় অনেক বেশি। সদ্য সমাপ্ত বছরে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। যা আগের একই বছরের তুলনায় এক হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা বেশি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বর্তমান খেলাপি ঋণের পরিমাণ জানাতে পারেননি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তবে পূর্বের খেলাপি থেকে এই বছরে ৫৬৭ কোটি টাকা নগদ আদায় সম্ভব হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা ১৭ থেকে ৯ টিতে নেমে এসেছে। ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরো কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৯৯২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। তা বিতরনকৃত মোট ঋণের ১৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
আফজাল করিম আরও জানান, ২০০৭ সালে আমাদের ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। এখন তা কমতে কমতে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় নেমেছে। ভবিষ্যতে আরও কমানো হবে। তিনি জানান, ২০২৩ সালে সুদ থেকে ৮২৭ কোটি টাকা আয় করেছে সোনালী ব্যাংক। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে যত ঋণ বিতরণ হয় তার ১৫ শতাংশই সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ হয় বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।