সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৫২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে। তবে আমদানি বাড়লেও দাম কমছেনা শুকনা মরিচের। গত এক মাসের তুলনায় পণ্যটি কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়া কমছে না পণ্যটির দাম। গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দিগুনেরও বেশি আমদানি বেড়েছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের কাস্টম্স রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এ বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে ২২ হাজার ৩০২ টন। যার আমদানি মূল্য ৫৫৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। একই ভাবে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এ বন্দরে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছিলো ১০ হাজার ৬৫৭ টন। যার আমদানি মূল্য ছিলো ২৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৫ টন।
ভোমরা বন্দরের মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মামনি এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, দেশীয় অভ্যন্তরীণ বাজারে শুকনা মরিচের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি বেড়েছে। গত অর্থবছরের পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে শুকনা মরিচ আমসদানি বেড়েছে অন্তত দ্বিগুন। তবে আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি। ভারতে সবধরনের মসল্যা পণ্যের দাম উর্দ্ধমুখি। ফলে আমদানি খরচও অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা শহরের সর্ববৃহৎ মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা আড়ৎ মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজে এ আড়তের স্বত্তাধিকারী ফজর আলী জানান, শনিবার শুকনা মরিচ পাইকারী বিক্রি করা হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। যা এক মাস আগেও ৪৭০ থেকে ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পণ্যটি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকায়। আমদানিকৃত অধিকাংশ মসল্যার দাম বেড়েছে। শুকনা মরিচ সরবরাহ বাড়লেও আমদানি খরচ বেশি হওয়াতে দাম কমছেনা।
সাতক্ষীরা জেলা মার্কেটিং অফিসার আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ জানান, জেলা প্রশাসনের সাথে সমম্বয় রেখে বাজার মনিটারিং জোরদার করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সর্বচ্চো চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে শুকনা মরিচসহ অন্যান্য আমদানিকৃত মসল্যার দাম কিছুটা বাড়তির দিকে।