ক্যারিয়ার সামিট
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৫ পিএম
অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্তই হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তাই আমরা শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো দুদিনব্যাপী ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট-২০২৩ আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর কমপক্ষে দুবার এ সামিট আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়েজিত সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান। বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) সহযোগিতায় দুদিনব্যাপী বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি আরও কর্মসংস্থানে জোর দিচ্ছে। কেননা এ শিল্প শ্রমনির্ভর। পোশাক শিল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট এবং নেতৃত্বস্থানীয় কোম্পানির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করাই ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্টের মূল উদ্দেশ্য।’
অনুষ্ঠানে জ্ঞানার্জন, নেটওয়ার্কিংয়ের ওপর জোর দিয়ে ফারুক হাসান বলেন, ‘এগুলো শুধু ব্যক্তিপর্যায়ে উপকার সাধন করে না বরং সমগ্র পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি এবং সাসটেইনেবিলিটিতে অবদান রাখে।’
বৈশ্বিক পোশাকের বাজারের গতি-প্রকৃতি তুলে ধরে বৈশ্বিক বাজারের নিত্যনতুন চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্ঞান ও দক্ষতায় শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে গ্র্যাজুয়েটদের নতুন সুযোগ গ্রহণ করার, সম্ভাবনা উন্মোচন করার এবং ব্যক্তিগত সমৃদ্ধি ও দেশের পোশাক শিল্প খাতের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট ২০২৩-এর লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটসহ মেধাবীদের পোশাক শিল্পের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করে দেওয়া। ১০০টির বেশি শীর্ষস্থানীয় পোশাক কোম্পানির সক্রিয় অংশগ্রহণে আয়োজিত এ সামিট পোশাক খাতে ক্যারিয়ার গড়ায় আগ্রহীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিইউএফটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মাহফুজুর রহমান, বিজিএমইএ পরিচালক ও উর্মী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ, জি-স্টার র পিআইসি বাংলাদেশের আঞ্চলিক ম্যানেজার শফিউর রহমান শফিক, ইনস্টিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড টেকনোলজিস্টসের সভাপতি ও হামস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর রহমান। বিজিএমইএ পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ পরিচালক নীলা হোসনে আরা।
অনুষ্ঠানে পোশাক শিল্প উদ্যেক্তারা উপস্থিত গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে শিল্প বিষয়ে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। সামিটে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলস এবং শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত গ্র্যাজুয়েট এবং শিক্ষার্থীরা ভেন্যুতে অংশগ্রহণকারী গার্মেন্টস কোম্পানিগুলোর দেওয়া সুযোগগুলো অন্বেষণ করতে ইভেন্টটি পরিদর্শন করেন।
সম্মেলনে কয়েকটি সেশনও ছিল, যেখানে শিল্প বিশেষজ্ঞরা পোশাক শিল্পে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা এবং গ্র্যাজুয়েটরা কীভাবে এ খাতে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে পারে, সে সম্পর্কে মূল্যবান দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দেন। ক্যারিয়ার সামিট শুধু নেটওয়ার্কিং এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ অন্বেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে তা নয়, বরং চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য সরাসরি বিজিএমইএ দপ্তরে তাদের সিভি জমা দেওয়ার সুযোগও করে দিচ্ছে। বিজিএমইএ এই সিভিগুলো সম্ভাব্য নিয়োগের জন্য সদস্য কারখানাগুলোর সঙ্গে শেয়ার করবে, যা চাকরিপ্রার্থীদের সম্ভাব্য নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি সরাসরি উপায় প্রদান করবে।