প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৫১ পিএম
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:২৯ পিএম
এটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশ্বব্যাপী শ্রমিক ক্ষমতায়ন, অধিকার ও উচ্চ শ্রমমান এগিয়ে নিতে স্মারক’ সম্পর্কিত প্রাথমিক সংকলিত প্রতিবেদন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন প্রবর্তিত স্মারকটি আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। যদিও স্মারকটি বৈশ্বিক নীতি বলেই মনে হচ্ছে তবু বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে বাংলাদেশ এই নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। স্মারকটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত শ্রমমন্ত্রী বাংলাদেশের শ্রম–সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
স্মারক অনুসারে বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো শ্রম–সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে সরাসরি কাজ করতে পারবে। তাই এই নীতি আগ্রহী মার্কিন দূত বা মিশনগুলোকে দেশি বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করতে পারে। শ্রম অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে এমনটি তাঁরা মনে করলে বা বিশ্বাস করলে এই নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।
স্মারকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় শঙ্কিত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এই স্মারকে শ্রম অধিকারের বিষয়ে যা বলা হয়েছে, তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র নানাভাবে এই রাজনৈতিক অভিপ্রায়কে ব্যবহার করতে পারে।
সে কারণে এই স্মারক বাংলাদেশের জন্য একটি বার্তা। কারণ, শ্রম অধিকারের অজুহাতে স্মারকে উল্লেখ করা যেকোনো পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র নিতে পারে। এই স্মারকের প্রভাব বাংলাদেশের পোশাক খাতের ওপর পড়তে পারে, এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।