প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৫৫ পিএম
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৪০ পিএম
ফাইল ফটো
দীর্ঘদিন থেকে ডলারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এলেও এবার কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য বারবার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসছিল। তবে ডলারের দর নিয়ন্ত্রণে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। চরম সংকটের মধ্যেই প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় বুধবার (২২ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদার যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এমন এক সময়ে ডলারের দর কমানো হলো যখন ১২১ থেকে ১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্স কিনছে ব্যাংকগুলো। আর খোলাবাজারে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা। মূলত ধারাবাহিকভাবে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বাড়ানোর ফলে আরও বাড়বে এমন আশায় অনেকেই ডলার ধরে রাখছে। প্রবাসীরা যেমন ডলার আনছে না, অনেকে আবার খোলাবাজার থেকে নগদ ডলার কিনে রাখছে।
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, এখন থেকে আর প্রতি মাসে ডলার কেনাবেচার দর বাড়ানো হবে না।
তিনি বলেন, আর্থিক হিসাবে ঘাটতিটাই এখন বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তবে ইতোমধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমে এসেছে। বেশিরভাগ ব্যাংকের নেট ওপেন পজিশন (এনওপি) ইতিবাচক হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকের কাছে বকেয়া কমে এসেছে।
এর আগে ৩১ অক্টোবর এবিবি ও বাফেদা রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের আনুষ্ঠানিক ক্রয়-বিক্রয় হার যথাক্রমে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং ১১১ টাকায় বাড়ায়। এর আগে ব্যাংকগুলো ১১০ টাকায় ডলার কিনে তা ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করতে পারত।
ঘোষিত অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ডলারের আন্তঃব্যাংক বিক্রয় হার ১১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে তাদের মাসিক রেমিট্যান্স আয়ের ১০ শতাংশ আন্তঃব্যাংক বাজারে বিক্রি করতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।