× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চীনের চেয়ে এগিয়ে ভারত

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৫ পিএম

চীনের চেয়ে এগিয়ে ভারত

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চলছে ধীরগতি। গত আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর)। এ কারণে বৈদেশিক ঋণ ছাড়েও প্রভাব পড়েছে। এই চার মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৫ কোটি ডলার কম ছাড় হয়েছে। ঋণ ছাড়ে চীনের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে ভারত। তবে সবচেয়ে এগিয়ে আছে জাইকা, এর পরের অবস্থানে আছে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি।

গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের বৈদেশিক ঋণ ছাড়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। তবে ঋণ ছাড় কমলেও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ঋণের সুদ-আসল পরিশোধের পরিমাণ।

ইআরডির তথ্যে দেখা যায়, চার মাসে মোট বৈদেশিক ঋণ ছাড় হয়েছে ১৬২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ১৯৭ কোটি ৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ছাড় কমেছে ৩৫ কোটি ডলার। তবে এবার বৈদেশিক ঋণ ছাড় কম হলেও বেড়েছে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ। গত অর্থবছরের এই সময়ে যেখানে ৪১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল এবার সেখানে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ৩৬২ কোটি ডলার।

ইআরডির তথ্য মতে, চার মাসে সবচেয়ে বেশি ৫১ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণ ছাড় করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৩৩ কোটি ডলার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ছাড় করেছে ২৯ কোটি ডলার। রাশিয়া ২৬ কোটি ডলার, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার আর চীন ছাড় করেছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা ৯ কোটি ডলার ছাড় করেছে।

এদিকে গত চার মাসে সবচেয়ে বেশি ১৫০ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাইকা। এডিবি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ১০৩ কোটি ডলারের। বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৩০ কোটি ডলারের। আরও কয়েকটি দেশ ৭৯ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে ভারত ও চীনের মধ্যে কেউই গত চার মাসে নতুন করে বৈদেশিক ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

ইআরডির তথ্যে দেখা যায়, গত অর্থবছরের তুলনায় এবার ঋণের সুদ-আসল পরিশোধের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। গত অর্থবছরের চার মাসে যেখানে ৭২ কোটি ডলার ঋণের সুদ-আসল পরিশোধ করতে হয়েছিল। এবার সেখানে পরিশোধ করতে হয়েছে ১১০ কোটি ডলার। অর্থাৎ বেড়েছে ৩৮ কোটি ডলার। তবে যতটা না ঋণের আসল পরিশোধ বেড়েছে তার চেয়ে প্রায় দুইগুণ বেড়েছে সুদের পরিমাণ। গত অর্থবছর যেখানে ঋণের সুদ বাবদ ১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। সেখানে এবার ৪৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে।

তিনটি লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) ঋণচুক্তির আওতায় ভারত ঋণ দিচ্ছে মোট ৭ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে প্রথম এলওসিতে ৮৬২ মিলিয়ন ডলারের জন্য চুক্তি সই হয়েছিল ২০১০ সালের ৭ আগস্ট। দ্বিতীয় এলওসির ঋণচুক্তি হয় ২০১৬ সালের ৯ মার্চ। এই এলওসির আওতায় ভারত ঋণ দিচ্ছে ২ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া, ভারতের সঙ্গে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের তৃতীয় এলওসি হয় ২০১৭ সালের মার্চে। ভারতের এইসব ঋণে বর্তমানে মোট ৩৬টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি ২২টি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৮টি ভৌতকাজ পর্যায়ে এবং ১১টি টেন্ডারিং পর্যায়ে রয়েছে।

এদিকে চীনের ঋণে বর্তমানে ১৭টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর আওতায় ছাড় হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ঢাকা সফরের সময় বিভিন্ন খাতের মোট ২৭টি প্রকল্পে দুই হাজার কোটি ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ সোয়া দুই লাখ কোটি টাকা। তবে গত সাত বছরে সব মিলিয়ে ১০টি প্রকল্পে চীনের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। এর মধ্যে ৩ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। ৭টি চলমান। 


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা