চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪৯ পিএম
তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ‘কফি উইথ চেম্বার’ শিরোনামে মতবিনিময় সভা। প্রবা ফটো
জাতিসংঘের দেওয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে তরুণ উদ্যোক্তারা একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন বলে জানিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে সম্মানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করতে হলে তরুণ উদ্যোক্তাদের যথাযথ ভূমিকাই এখন সময়ের দাবি। সীমিত সম্পদ দিয়েও যে ঘনবসতিপূর্ণ একটা ছোট্ট দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা যায়, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তা প্রমাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে চাকরির পিছে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন। এজন্য আইসিটি ইনকিউবেটর এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে তরুণ প্রজন্মকে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন সরকার।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) নগরীর ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ নেটওয়ার্ক (জিইএন) বাংলাদেশর সঙ্গে ‘কফি উইথ চেম্বার’ শিরোনামে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে চেম্বার।
সভায় ওমর হাজ্জাজ বলেন, আগামী গ্লোবাল ইকোনমি বে অব বেঙ্গলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এতে ভারত-চায়না ইতোমধ্যে বৃহৎ অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে যার অংশীদার হচ্ছি আমরাও। বাংলাদেশের যে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড রয়েছে তাদেরকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে ১৭ কোটির মানুষের এদেশ থেকে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান তৈরী হবে।
মতবিনিময় সভায় তথ্যচিত্রের মাধ্যমে জিইএনের সামগ্রিক কর্মকান্ড এবং গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশিপ সপ্তাহ-২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন জিইএন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম হাসান রিপন। এসময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মো. ইফতেখার ফয়সাল ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), দেশ আইটির প্রফেসর রেজাউল করিম, তরুণ উদ্যোক্তা সৌমেন কানুনগো, প্রান্তিক গ্রুপের পরিচালক রাশিদ সরোয়ারসহ তরুণ উদ্যোক্তাগণ বক্তব্য দেন।
জিইএন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম হাসান রিপন বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের শুরু থেকেই অনেক বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হয়। ইনোভেশন এবং ইন্টিগ্রিটি থাকলে যেকোন তরুণ উদ্যোক্তা সফল হয়ে উঠবে। আর তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে মনোভিত্তিক আগ্রহ জাগিয়ে তোলার জন্য ইকোসিস্টেম তৈরি করে নতুন ব্যবসা উদ্ভাবন ও বিকশিত করতে কাজ করছে জিইএন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, জাপান-মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে সাড়ে চার কোটি দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে এসব দক্ষ জনশক্তির যোগান দিতে ভারত ও বাংলাদেশের যথেষ্ট ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড রয়েছে।
সভায় বক্তারা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য পলিসি নির্ধারণের পাশাপাশি নতুন ব্যবসায়িক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা, কারিগরি প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও তরুণ নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে ক্যাপাসিটি ডেভেলাপমেন্ট ও কানেক্টিভিটি তৈরীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।