প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ২১:২৬ পিএম
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩৮ পিএম
ফাইল ফটো
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৩৪৪ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে সয়াবিন তেল এবং মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৭৭ কোটি ১৪ লাখ ৫০ টাকার তেল এবং ২৬৭ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার টাকার মসুর ডাল কেনা হবে। তেল, ডাল কেনাসহ ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকার ১৭টি ক্রয়প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি বলেন, ‘আজকে সভায় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৭টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। ক্রয়ের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ছয়টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের দুটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টেবিলে দুটি প্রস্তাব উপস্থাপনসহ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৭টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ১০ লাখ ৭৬ হাজার ১৪২ টাকা।’
অতিরিক্ত সচিব জানান, সভায় ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পৃথক চারটি ক্রয়প্রস্তাবে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৮৪ কোটি ৯৬ লাখ ৪ হাজার ৪৭৭ টাকা ব্যয়ে বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের বরিশালের চর কাউনিয়া থেকে ভোলা ইলিশা ফেরিঘাট হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউ-০৩-এর ভেরিয়েশন প্রস্তাব, ৩০৪ কোটি ৯৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৭০ টাকা ব্যয়ে ঢাকা স্যানিটেশন ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-৬-এর আওতায় পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাব, ২৪৯ কোটি ৮২ লাখ ৫১ হাজার ২৬৮ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা স্যানিটেশন ইম্প্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-৬ই-এর আওতায় পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাব এবং ‘কৈলাশটিলা ৮নং কূপ খনন’ ডিরেকশনাল ড্রিগিং সার্ভিস বৃদ্ধির জন্য ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এজন্য ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৪৭৬ মার্কিন ডলার ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
সভায় একই প্রকল্পের কোর অ্যান্ড পিভিটি অ্যানালাইসিস সার্ভিসেস বৃদ্ধির ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব। ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২০ হাজার ১০৭ ডলার ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ’বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টেবিলে দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে তুরস্ক থেকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে। প্রতি কেজি ১০২ দশমিক ১৩ টাকা হিসাবে মোট ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়াও স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ১১ হাজার কেজি মসুর ডাল সংগ্রহ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি ১০০ টাকা হিসাবে মোট ব্যয় হবে ১১০ কোটি টাকা।’
এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।