চট্টগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:০৫ পিএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৫০ পিএম
দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)। ছবি : সংগৃহীত
অগ্নিকাণ্ড ও গ্যাস সংকটের কারণে প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে ফিরেছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল)। রবিবার (০৫ নভেম্বর ) এ কারখানাটিতে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে জানান সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ।
সিইউএফএল সূত্র জানায়, দীর্ঘ ১১ মাস সাত দিন কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক ৩ কোটি টাকা করে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতি হয়েছে। ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটিতে অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে অগ্নিকাণ্ডের একটি ঘটনা ঘটে। তার পর থেকে আর পুরোপুরিভাবে উৎপাদনে যেতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। তবে পরীক্ষামূলকভাবে চলতি বছর ২২মার্চ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২৭ মার্চ ফের বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি।
এরপর যুক্তরাজ্যের একটি বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে মেরামত কাজ করে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হলেও গ্যাস সংকটের কারণে প্ল্যান্টের ক্যাটালিস্ট রিডাকশন প্রকল্পের ট্রায়াল শেষ করতে পারেনি। ট্রায়াল শেষ করতে এক মাস নিরবচ্ছিন্নভাবে ৪২ এমএমসিএফডি গ্যাসের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় ক্যাটালিস্ট রিডেকশনের ট্রায়ালও শেষ করতে পারেনি যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দলটি।
সিইউএফএল সূত্র আরও জানায়, সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর থেকে ১২ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পাওয়ায় উৎপাদন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এরপর ক্যাটালিস্ট রিডাকশনের ট্রায়াল শেষ করতে গত ১৫ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের ৪ বিশেষজ্ঞ দল আসে। এরপর ট্রায়াল কাজ শেষে পুরোদমে সার উৎপাদন শুরু করেছে সিইউএফএল। ২০২১-২২ অর্থবছরে কারখানাটি ইউরিয়া উৎপাদন করে ২ লাখ ৪৭হাজার মেট্রিক টন। কারখানাটিতে দৈনিক ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত সার উৎপাদন করা হতো । তবে কারখানাটি পুরোনো হয়ে আসায় বর্তমানে সার উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত।
সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন প্রায় এক বছর বন্ধ ছিল। আজকে ভোর ৪টা থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে। আশা করছি কারখানা এবার পুরোদমে চালু করা যাবে। তবে কারখানাটি পুরোনো হয়ে আসায় আগের তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা কিছুটা হ্রাস হয়েছে। ১ হাজার মেট্রিক টন সার উৎপাদন হতে পারে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় দৈনিক ৩ কোটি টাকা করে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার উৎপাদন ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।