প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৩০ পিএম
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৪০ পিএম
দেশের জ্বালানি খাতে যুক্তরাজ্য, হংকং, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিনিয়োগ রয়েছে। গত ১৩ বছরে দেশের জ্বালানি খাতে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বিনিয়োগই হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানিকেন্দ্রিক। অন্যদিকে বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ ৩০ শতাংশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে আগ্রহী। ফলে এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি। তাই সংস্থাটি এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আটটি প্রস্তাব দিয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ : চায়নার কেস স্টাডি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ডায়লগে সিপিডির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মাশফিক আহসান হৃদয় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হলে একটি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষ জনবল, বিনিয়োগবান্ধব প্রণোদনা প্রয়োজন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর ছাড়সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয় সরকার। তবে বিনিয়োগকারীরা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, সেবাপ্রাপ্তিতে ধীরগতিসহ একাধিক জটিলতার সম্মুখীন হন। তা সত্ত্বেও জ্বালানি খাতে ২০২২ সালে ৩ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা তার আগের বছরের তুলনায় ২০ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বমানের প্রকল্প প্রোফাইল তৈরি করে ভেস্টাস, সিমেন্সের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ছাড়াও আরেকটি বিনিয়োগ আকৃষ্ট এজেন্সি তৈরি করা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনের জন্য সরকারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি (পিপিপি পদ্ধতির অধীনে হতে পারে), বিনিয়োগকারীদের হয়রানি কমাতে ওয়ান স্টপ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিস সেন্টার, অবকাঠামোর উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুবিধার্থে চাকরিপ্রার্থীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ আনা ও বাংলাদেশে বিদ্যমান ১৭৭টি এসএমই ক্লাস্টারের উন্নয়নে ক্লাস্টারভিত্তিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা।
স্বাগত বক্তব্যে গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘চীন নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে গ্লোবাল লিডার। অন্যদিকে বাংলাদেশ এর বিপরীতে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১। চীনের এই উন্নতি থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।