প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২৪ পিএম
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৪৪ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি পলিসি কমিটি পুনর্গঠন করা হচ্ছে। নতুন কমিটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব কর্মকর্তাদের বাইরে তিনজন বিশেষজ্ঞকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কমিটির আকারও কমিয়ে আনা হচ্ছে। রবিবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
মুদ্রানীতি প্রণয়নে বর্তমানে ৯ সদস্যের কমিটি রয়েছে। এ কমিটির প্রধান গভর্নর। বাকি আট সদস্যের মধ্যে আছেন—চার ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদ, বিএফআইইউ-প্রধান, মুদ্রানীতি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালক। তবে পুনর্গঠিত কমিটি হবে সাত সদস্যের, যার প্রধানও হবেন গভর্নর।
তবে নতুন কমিটিতে তিনজন ডেপুটি গভর্নরকে বাদ দিয়ে তাদের জায়গায় বাইরে থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞকে যুক্ত করা হচ্ছে। তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান, বিআইডিএসের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ কর্তৃক মনোনীতি একজন। অপর সদস্যের মধ্যে থাকবেন মুদ্রানীতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অনেক দেশে মুদ্রানীতি কমিটিতে বাইরের বিশেষজ্ঞ রাখা হয়। এতে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও সেটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সহজ হয়। এ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকও মুদ্রানীতি কমিটিতে বাইরের বিশেষজ্ঞ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রানীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা, যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখাও মুদ্রানীতির অন্যতম কাজ। আইএমএফের পরামর্শে গত অর্থবছর থেকে আবার বছরে দুবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১৮ জুন চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন মুদ্রানীতি প্রণয়নের আগে মুদ্রানীতি পলিসি কমিটি নিজেরা একাধিকবার বৈঠক করে স্বাধীনভাবে উপকরণগুলো ঠিক করে থাকে। এক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়া ছাড়াও অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে চলতি অর্থবছর থেকে মুদ্রানীতির পরিচালন কাঠামোতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। মুদ্রানীতি কাঠামোতে সুদহারের করিডোর প্রথা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় সুদহার টার্গেটিং মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। অর্থাৎ মুদ্রানীতির অপারেটিং টার্গেট বা টুলস হিসেবে সুদের হারকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বাজারে অর্থের জোগান নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।