প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৪২ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:১৪ পিএম
ড. আতিউর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
মূল্যস্ফীতিকে গরিবের বড় শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো একটির কাছে অন্যটি শত্রু হতে পারে। তবে গরিবের সবচেয়ে বড় শত্রু মূল্যস্ফীতি। দেশে গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। এ মূল্যস্ফীতির কারণে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ কষ্টে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যবিমোচন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ (এডাব) ও বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)-এর উদ্যোগে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯২ সালে জাতিসংঘ ১৭ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যবিমোচন দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শোভন কাজ ও সামাজিক সুরক্ষা : সকলের জন্য সমান মর্যাদা’।
এডাবের ভাইস চেয়ারপারসন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ইকোনমিকস রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি শারমিন রিনভী, গ্রাম বিকাশ সহায়ক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাসুদা ফারুক রত্না, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডাবের কর্মসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক, স্বাগত বক্তব্য দেন বিএমএসএফের সভাপতি এনামুল কবির রুপম।
ড. আতিউর রহমান বলেন, দারিদ্র্যের রকমফের আছে, ভিন্নতা আছে গ্রাম ও শহরের দারিদ্র্যের মধ্যেও। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রামীণ দারিদ্র্য কমাতে যে পরিমাণ কাজ করেছে শহরের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। অথচ শহরের দরিদ্র লোকগুলো নদী ভাঙন, ভিটেমাটি হারা, চরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বঞ্চিত শ্রেণির।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে দারিদ্র্য বেড়েছে। করোনা-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে। আমরা বিশ্ববাজার থেকে অনেক পণ্য আমদানি করি। কৃষি আমাদের রক্ষাকবচ হলেও কৃষিজ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত আনুষঙ্গিক পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
সাবেক এই গভর্নর আরও বলেন, দারিদ্র্য থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। আর এ কাজটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোও করছে। তা না হলে হয়তো রাষ্ট্রকে আরও বেশি কর ধার্য করে উন্নয়ন করতে হতো। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয়ের অবদান স্বীকার করতে হবে।
কাউসার আলম কনক বলেন, বিশ্বব্যাংকের মান অনুযায়ী দৈনিক ১ দশমিক ৯০ ডলারের নিচে আয় করা মানুষ দরিদ্র। দেশে কেবল ৪ দশমিক ৬ শতাংশ নারী সম্পদের মালিকানায় রয়েছে। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পদ কেনাবেচা বা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।