প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:০৭ পিএম
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০০ পিএম
ইলিশের উৎপাদনের কাজে মৎস্য মন্ত্রণালয় জড়িত কিন্তু দামের ক্ষেত্রে বাজারব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অন্য মন্ত্রণালয়ের। এজন্য ইলিশের উচ্চ দামের জন্য আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সচিবালয়ের মৎস্য ভবনের সভাকক্ষে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৩’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইলিশের উৎপাদন খরচ নেই তারপরও দাম আকাশছোঁয়া কেন প্রশ্নের জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘উৎপাদন বৃদ্ধি আমাদের কাজ, তবে বাজারব্যবস্থাপনায় প্রতিটি পর্যায়ে কঠোর তদারকি প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা ও আহরণে সরকার অর্থায়ন করে থাকে। আর গবেষণাকার্যক্রম ও বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ায় ইতোমধ্যে উৎপাদন বেড়েছে। বড় বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে দামের বিষয়ে বাজারব্যবস্থাপনায় যারা জড়িত তারা ব্যবস্থা নেবেন। তা ছাড়া মাছ আহরণ থেকে বিপণন পর্যন্ত তদারকি কঠোরভাবে করতে হবে।
ইলিশ মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, জলসীমায় মাছের বংশবিস্তার বাড়াতে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ বিষয়ে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাটকা যাতে নিধন না হয়, মা ইলিশ সংরক্ষণ করা যায় সেজন্য ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এবার যাতে নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ না ধরা হয় সেজন্য জল, স্থল ও আকাশ পথে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ আহরণে যারা জড়িত তাদের ভিজিএফ কার্ডের আওতায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও তা বণ্টনও শুরু হয়েছে। যেসব অঞ্চলে মা ইলিশ ধরা হয় সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োজিত করা হচ্ছে। আহরণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বিক্রয় কাজে জড়িতদের নিয়েও বৈঠক করা হবে।’
পার্শ্ববর্তী দেশে একই সময় নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এককভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশের জেলেরা। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হচ্ছে। ভারতের একেক সীমানায় একক ধরনের কাজ কিন্তু তাদের তো অনেক বড় এলাকা।’