প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৩ পিএম
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলন। ছবি : সংগৃহীত
জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। এ ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবন ও পর্যাপ্ত বিনিয়োগ দরকার। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ফান্ড গঠনে নিজস্ব উৎস থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জোরালো সহযোগিতা প্রয়োজন। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশ আজ বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। আমাদের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ২৯ টন। বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা না যায়, তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের কৃষি খাতের এক-তৃতীয়াংশ কমে যাবে। একই সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির শিকার হবে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ব্যবসা হারাতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘টেকসই অর্থায়নে বিভিন্ন রকম কলাকৌশল, বিনিয়োগ এবং কার্যকারিতার লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রাকৃতিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সাইটেইনেবল ফান্ড চ্যানেল প্রজেক্টগুলোর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে অর্থনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্রের ওপর। এই জায়গাটায় করেপোরেট ব্যক্তিদের ব্যবসা করা উচিত নয়। শুধু লাভের দিকে তাকালে হবে না।’
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. শামসুল হক বলেন, ‘সবুজ অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়ন বাড়াতে হবে। ব্যাংকিং খাত হবে শুধু ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের জন্য। এ ক্ষেত্রে রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’