প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০৭ পিএম
প্রবা ফটো
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস গতকাল ররিবার বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন। দিনের প্রথম দেড় ঘণ্টা সূচক সামান্য কমলেও বাকি তিন ঘণ্টায় শেয়ার বিক্রির চাপ আরও বেড়ে যায়। ফলে বাজারে বড় দরপতন হয়। পুঁজিবাজারে বিশ্লেষকদের কারো কারো ধারণা এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন বলেও মত তাদের। তবে একই সঙ্গে এ সপ্তাহেই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলেও তারা প্রত্যাশা করেন।
মিউওয়ে সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশিকুর রহমান মতে, ‘এ মুহুর্তে পুঁজিবাজারে দরপতন হওয়ার মতো কোন কারণ নেই আমার জানা নেই। সুতরাং ভিসানীতি প্রভাবে কেউ কেউ আতঙ্কিত হতে পারেন। তবে বাজার পতনের সঙ্গে ভিসানীতির সম্পর্ক নেই।’
একইধরণের মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ ভিসানীতির কারণে আতংঙ্কিত হতে পারে। তবে এটার কারণে বাজারে প্রভাব পড়েছে বলা মুশকিল। কারন যে সব কোম্পানির পিছনে মার্কেট মেকাররা রয়েছে সেইসব কোম্পানির শেয়ার দর কিন্তু পড়েনি। অনেক মানুষ বেশি সতর্কতার জন্য শেয়ার বিক্রি করতে পারে, সেটার একটা চাপ হয়তো ছিল রবিবারের বাজারে।’
এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৮ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর তথ্য মতে, বাজারে লেনদেন হওয়া ৩০৯টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ১৪৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্টে।
ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ৯ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে।
এদিন ৩২০টি কোম্পানির ৯ কোটি ৭৮ লাখ ১৫ হাজার ৮০৮টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে; যা টাকার অঙ্কে ৫০০ কোটি ৭৪ লাখ ৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৩৫ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অর্থাৎ লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে।
গত কিছুদিনের মতো লেনদেনের শীর্ষ ছিল বীমা খাত।
একইসঙ্গে দরপতনের শীর্ষও ছিল এখাতের কোম্পানিগুলো। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্সের শেয়ার। এরপরের তালিকায় ছিল, বিডি কম, খান ব্রাদার্স পিপি ব্যাগ, জেমিনি সি ফুড, প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স, মিরকাল ইন্ডাস্ট্রিজ, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স এবং ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৮০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে ৮ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮২২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৪ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার ৭৮৫ টাকার শেয়ার।