প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫৭ পিএম
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
সিএমএসএমই ও ভোক্তা ঋণের ওপর নিয়মিত সুদের সঙ্গে প্রতিবর্ষে একবার ‘সুপারভিশন’ চার্জের নামে যে এক শতাংশ হারে অর্থ কেটে নেওয়া হচ্ছে তা বাতিল ও কেটে নেওয়া অর্থ ফেরত চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে এ দাবি করেন তারা।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে কেটে নেওয়া অর্থ ফেরত না দিলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।
প্রসঙ্গত, ৯ শতাংশ সুদহার তুলে দিয়ে ছয় মাসের স্মার্ট সুদহারের সঙ্গে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ সুদহার ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, সিএমএসএমই ও ভোক্তা ঋণে অতিরিক্ত এক শতাংশ সুপারভিশন চার্জ যুক্ত করতে পারবে ব্যাংক।
লিখিত বক্তব্যে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে ব্যবসায়িক এই চরম মন্দাবস্থার মধ্যে সিএমএসএমই খাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যাংকঋণের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। এমনি এক ব্যবসায়িক দুর্যোগময় মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত করে। ইতোমধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী সুদের হার আরেক দফা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘গত জুন মাসে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের মাধ্যমে সিএমএসএমই খাত ও ভোক্তা ঋণ সীমার ওপর এক শতাংশ হারে সুপারভিশন চার্জ কর্তন করা হচ্ছে। এতে ৭৫ কোটি টাকা ঋণ সীমা পর্যন্ত সিএমএসএমই খাত ধরা হয়।’
এতে করে বিভিন্ন ঋণগ্রহীতার অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা কর্তন করা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ব্যবসায়ীদের ঋণখেলাপি ও ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে; যা ব্যবসায়ীদের ওপর মারাত্মক অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।