অর্থনীতিবিদদের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংক
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:০০ পিএম
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৩৪ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। প্রবা ফটো
বৈশ্বিক
অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতিতে নাকাল দেশবাসী। এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার
ও সাংবাদিকদের সঙ্গে পরামর্শের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার
(২১ সেপ্টেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের
সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বৈঠকে নতুনভাবে টাকা
ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
বৈঠক
শেষে সাংবাদিকদের মেজবাউল হক বলেন, 'দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ
খুবই জরুরি। তাই আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যেসব পরামর্শ আসবে সে অনুযায়ী আগামী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে।’
তিনি
বলেন, ’বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা মূল্যস্ফীতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে
রেখেছি। আমরা যে এখনও সংকটের মধ্যে আছি তা সত্য। তবে সেই সংকট নিরসনে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
যেমন আমদানি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম
গ্রহণ করা হয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় আমাদের
দেশও তার মাশুল গুনছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন করে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও অর্থনীতিবিদ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, চেম্বার অব কমার্স এবং অর্থনৈতিক খাতের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে।’
গত
জুন ও জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্ট মাসে তা আবার বেড়েছে। গত
মাসে (আগস্ট) মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এই সময় দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি
হঠাৎ অনেকটা বেড়ে গেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে।
সরকারের প্রত্যাশা ছিল, আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমবে। ২৯ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভার (একনেক) পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মূল্যস্ফীতি জোর করে কমানো যায় না। কার্যকর নীতি নিতে হবে। আমি ঝুঁকি নিয়ে বলতে পারি, চলতি আগস্টে মূল্যস্ফীতি ২ থেকে ৪ পয়েন্ট কমবে।’ কিন্তু গত মাসে তা উল্টো বেড়েছে।