প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০২ পিএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:১৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বে হালাল অর্থনীতির প্রসার ঘটছে। আগামী ২০২৪ সালে বিশ্বে এর পরিমাণ ৩ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে। এসবের মধ্যে ওষুধ, কসমেটিকস, গবেষণা, পর্যটনসহ সব খাতই রয়েছে।
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ার মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) হালাল পণ্যের অবদান ৮ দশমিক ১ শতাংশ। দেশটি ২০২৫ সালের মধ্যে হালাল পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ৫৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে বলে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার হোটেল শেরাটনে ‘গ্লোবাল হালাল ইন্ডাস্ট্রি : মিউচুয়াল অপরচুনিটিস ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড মালয়েশিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘শোকেস মালয়েশিয়া ২০২৩’ শীর্ষক মেলার শেষ দিনে সেমিনারটির আয়োজন করা হয়। এতে বিএমসিসিআই পরিচালক মো. মামুনুর রহমানের উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন বেঙ্গল মিট প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হেড অব সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড এক্সপোর্ট এএকেএম সায়েদুল হক ভুঁইয়া, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈয়দ আলমগীর, বিএসটিআইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মো. আরাফাত হোসেন সরকার, মালয়েশিয়ার উতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হালাল ম্যানেজমেন্ট ইসলামিক বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুর রহমান।
ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘হালাল শিল্প অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী অনুঘটক, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উল্লেখযোগ্য মুসলিম জনসংখ্যার দেশগুলোতে। বাংলাদেশ ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ বিলিয়ন ডলারের হালাল খাবার ও কসমেটিকস রপ্তানি করেছে। তার মধ্যে শুধু মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে ৭০ শতাংশ রপ্তানি করা হয়। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।’
সায়েদুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘২০২১ সালে বিশ্বে হালাল খাদ্য ও বেভারেজের বাজার ছিল ৭৭৪ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। প্রতি বছর এটি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হারে বাড়ছে। বর্তমান বিশ্বে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন অর্থাৎ ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্বের মুসলমানরা ২ দশমিক শূন্য ট্রিলিয়ন ডলারের হালাল পণ্য উৎপাদন করেছিলেন। কোভিড-১৯-এর কারণে তা কমে আসে, তবে ২০২৪ সালে এটি ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়নে দাঁড়াবে। বর্তমানে উৎপাদনের হার ৩ দশমিক ১০ শতাংশ বাড়ছে।’
বর্তমান বিশ্বে হালাল কাঁচামাল সংগ্রহ করা সহজ বলে জানান আরাফাত হোসেন সরকার। তিনি বলেন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা অমুসলিম দেশ হয়েও ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে হালাল গরুর মাংস সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছে। সেক্ষেত্রে এ বাজারটি আমরা সহজেই ধরতে পারি। তবে বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডেশন সিস্টেম নেই, অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব নেই। এ খাতে প্রশিক্ষিত জনশক্তির অভাবও রয়েছে। আর আমাদের দেশে হালাল খাদ্যের সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশেই ১০৭ বিলিয়ন অর্থের অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে।