প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫২ পিএম
প্রবা ফটো
গত অর্থবছরের শুরুর দিকে দেশে হঠাৎ করে পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। এতে ডলার সংকটে পড়ে বিদেশি বাণিজ্য। কমতে থাকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিদেশি হিসেবে (নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট) ডলার সরবরাহ। এই সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এলসিতে নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। নজরদারিতে আনা হয় পাঁচ বিলিয়নের বেশি দরের এলসি। এতে কমতে থাকে ঋণপত্র খোলা।
তবে ব্যাংকগুলোর বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে এলসি খোলা। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেই বেড়েছে এলসি। যদিও এই এলসি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই শেষে ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ডলারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯০ বিলিয়ন, গত বছরের একই সময় যা ছিল ৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের আগস্টে ৫ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়। আগের মাস জুলাইয়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক মাসে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। জুনে এলসি খোলা হয় ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারের। তবে আগস্টের এলসি খোলার পরিমাণ গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ১৬ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের আগস্টে এলসি খোলার পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলোয় গত বছরের তুলনায় ডলার সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। তাই এলসি খোলার পরিমাণ বাড়ছে। এলসি খোলা কমলেও পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেনি। পরিমাণ কমলে বাজারে পণ্যের সংকট দেখা দিত। মূলত আগে আমদানি এলসি খোলার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করা হতো না। ফলে আমদানির আড়ালে অনেক অর্থপাচার হতো। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক নজরদারি বাড়ানোর কারণে ওভার-ইনভয়েসিং কমে গেছে।