প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৫০ পিএম
প্রবা ফটো
এক ব্যাংকের রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের সুযোগ বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রপ্তানিকারকদের চাপে রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের যে সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, এক বছরের মাথায় এসে তা বাতিল করা হলো। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।
দেশে ডলার সংকট তীব্র হলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল করতে রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে নিতে এর আগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্টে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সার্কুলার জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
কিন্তু ওই সার্কুলার জারির ২২ দিনের মাথায় একই বছরের সেপ্টেম্বরে রপ্তানিকারকদের চাপে রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময়ে রপ্তানিকারকদের যুক্তি ছিল, এক ব্যাংক থেকে রপ্তানি আয় হিসেবে আসা বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় রূপান্তর করে অন্য ব্যাংকের আমদানি দায় পরিশোধ করতে পুনরায় বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে হয়। এতে মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, যে ব্যাংকের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি হবে, সে ব্যাংকের মাধ্যমে আসা রপ্তানি আয় দিয়ে ইডিএফ ও আমদানি দায় পরিশোধ শেষে অবশিষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় রূপান্তর করে নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বৈদেশিক মুদ্রা অন্য ব্যাংকে নেওয়া যাবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, রপ্তানি হওয়া পণ্য মূল্যর মধ্যে মূল্য সংযোজিত (ভ্যালু অ্যাডেড) অংশের বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে রপ্তানি করা পণ্যের জন্য আমদানি করা কাঁচামালের দায় পরিশোধ করতে পারে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়াও ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্রের দায় মেটাতে পারে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। রপ্তানি আয় থেকে ইডিএফ (এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড) ও আমদানি দায় পরিশোধের পর অবশিষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা ৩০ দিনের মধ্যে রপ্তানিকারকের ব্যাংক হিসাবে টাকায় রূপান্তর করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, এতে রপ্তানি আয় হিসেবে আসা বৈদেশিক মুদ্রা নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।