× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চাষে খরচ বাড়লেও কমেছে পাটের দাম

সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৩৯ এএম

আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:২১ পিএম

চাষে খরচ বাড়লেও কমেছে পাটের দাম। ছবি : সংগৃহীত

চাষে খরচ বাড়লেও কমেছে পাটের দাম। ছবি : সংগৃহীত

পাট চাষে গত বছরের তুলনায় এবার মজুরি ব্যয় বেড়েছে। বেড়েছে সার, কীটনাশক, বীজসহ অন্যান্য খরচও। সব মিলিয়ে প্রতি মণ পাটে উৎপাদন খরচ বেড়েছে গড়ে ৫০০ টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজারমূল্য নিয়ে সন্তুষ্ট নন চাষিরা। ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসনে ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণে গড়ে দাম কমেছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। এতে কৃষকরা চরম হতাশ।

কৃষকরা বলছেন, গত বছর প্রতি মণ পাট ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছিলেন তারা। বর্তমানে দাম নেমে এসেছে ২ হাজার ৩০০ থেকে আড়াই হাজার টাকায়। মাসখানেক আগে নতুন পাট যখন বাজারে ওঠে, তখন প্রতি মণ ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। পনেরো দিন থেকে এক সপ্তাহ ধরে পাটের দাম কমেছে। মাঝে মাঝে দাম ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়ও নেমে যায়। চাষিরা জানান, পাট রোপণ থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত বিঘাপ্রতি খরচের তুলনায় ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না তারা।

সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের পাটচাষি বিরাজ মোল্লা বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমিতে ১৯ হাজার ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্ত এ বছর পাটের দাম নিয়ে সংশয়ে আছি। খরচের টাকা উঠাতে পারব কি না, এখনও বুঝতে পারছি না। বাজারে পাটের যে দাম আগামীতে এমন থাকলে পাট চাষ আর করা হবে না।’

চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিএস ডাঙ্গী এলাকার চাষি কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, এ বছর খরচের তুলনায় বাজারে পাটের দাম অনেক কম। আগের বছরে কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পাট মজুদ করেছে। এজন্য বাজারে পাটের চাহিদা ও দাম কমে গেছে। প্রশাসনের উচিত পাটের বাজার মনিটরিং করা। বাজারে পাটের দাম এমন হলে আমরা পাট চাষ করা থেকে সরে আসব।

পাটের দাম কমার বিষয়ে সদরপুর উপজেলার সাড়ে সাতরশি বাজারের ব্যবসায়ী হায়দার মল্লিক বলেন, ‘সদরপুর-চরভদ্রাসনের ব্যবসায়ীদের কাছে এখনও আগের বছরের কিছু পাট রয়েছে। শুধু সদরপুরে ব্যবসায়ীদের কাছে আগের বছরের ৫ থেকে ৭ হাজার মণ পাট আছে। এতে ব্যবসায়ীরা পাট কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন কম। এ বছর বাজারে পাটের সরবরাহ বেশি হওয়াতে দাম কমেছে।’

সাড়ে সাতরশি হাটে পাট নিয়ে আসা লোচনগঞ্জ গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমার পাটের মান ভালো। পরিষ্কার পানিতে পাট জাগ দিয়েছি, পাটের কালার (রঙ) ভালো হয়েছে। অথচ বেপারিরা বাজারে পাটের পরিমাণ বেশি হওয়াতে প্রতি মণ ২ হাজার ১০০ টাকার বেশি বলছেনই না।’

সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর বাজারের পাট ব্যবসায়ী আ. ছামাদ বলেন, ‘বর্তমানে দেশে পাটের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি বলে পাটের দাম কম হতে পারে। বর্তমানে আমরা ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে পাট কিনছি। আমরা ছোট ব্যবসায়ী, আমাদের পুঁজি কম, যারা বড় ব্যবসায়ী আছেন তারা পাট মজুদ করে রাখেন।’ 

সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় জানান, এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার ৫২৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। অনাবৃষ্টি, রাসায়নিক সার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে। এ বছর পানির সংকট থাকার কারণেও পাটচাষিদের খরচ বেড়েছে। কিন্তু বাজারে পাটের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম।

চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এ বছর পানির সংকট থাকার কারণে পাটচাষিরা বিভিন্ন ডোবা বা জলাশয়ে পাট জাগ দিতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে পাটের গুণগত মান অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন কৃষকরা। পানির সংকট থাকায় অনেক কৃষক নদীতে নিয়ে পাট জাগ দিয়েছেন। এতে খরচ অনেকটা বেড়ে গেছে। এ ছাড়া এবার পাটের ফলন বেশি হওয়াতে বাজারে দাম কম।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা