× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

পাহাড়ে চাষাবাদ বাড়াতে ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৩৫ পিএম

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২২ ২০:০৪ পিএম

ফাইল ছবি: সংগৃহীত

ফাইল ছবি: সংগৃহীত

পাহাড়ি মাটিতে চাষাবাদ বাড়াতে ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার প্রকল্প নিচ্ছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট। প্রকল্পটিতে বেশ কিছু খাতে অস্বাভাবিক ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন।

প্রস্তাবে মৃত্তিকা ইনস্টিটিউট বলছে, পাহাড়ি এলাকায় টেকসই মৃত্তিকা ও ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং মৃত্তিকা গুণাগুণের ভিত্তিতে শস্য উপযোগিতা নিরূপণ প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়ন করবে ইনস্টিটিউট। এ প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে আবাদ বাড়বে, কিন্তু সে অনুপাতে মাটির ক্ষয় হবে না। ভূমিধসের আশংকাও কমবে।

সেখানে আরো বলা হয়েছে– বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য অন্য অঞ্চল থেকে একেবারেই আলাদা। পাহাড়ি মাটির উপরিস্তরে কর্দম কণার পরিমাণ ও পানি ধারণক্ষমতা অনেক কম। বর্ষায় অতিবৃষ্টির কারণে ব্যাপক ভূমিক্ষয় ও ভূমিধস হয়। এতে মাটির জৈব পদার্থ ও পুষ্টি উপাদান কমে যায়। তাই গবেষণার মাধ্যমে পাহাড়ি মাটি ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা প্রয়োজন।

ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচলিত পদ্ধতিতে চাষাবাদে ফসলভেদে পাহাড়ি এলাকায় বছরে প্রতি হেক্টরে ৪০ থেকে ৮০ টন মাটি ক্ষয় হয়।  উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে চাষ করলে এ ক্ষয় ৮ থেকে ১০ টনে নেমে আসে। আবার মাটির বিভিন্ন উপাদান বাড়ার ফলে ফসল উৎপাদন ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই মাটি ক্ষয় কমাতে আধুনিক ভূমি ও মাটি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির ট্রায়াল প্রদর্শনী স্থাপনে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে প্রকল্পটির বিভিন্ন খাতের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকা চাষাবাদ ও ভূমি ব্যবস্থাপনা শিখতে ৬০ লাখ টাকা খরচে বিদেশে প্রশিক্ষণের আবদার করা হয়েছে। আবার প্রকল্প পরিচালকের জন্য একটি জিপ গাড়ি কেনা বাবদ ৯০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। পিকআপ কিনতেও ৫৪ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। অথচ প্রকল্প পরিচালকের (গ্রেড-৪ এর কর্মকর্তা) জন্য সর্বোচ্চ ৫৭ লাখ টাকার গাড়ি কেনার বিধান রয়েছে।

এছাড়া জনবল ও ভাতা খাতে ২ কোটি ৯৩ লাখ, দেশীয় প্রশিক্ষণে ৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, সম্মানী ভাতা ২৫ লাখ টাকা, প্রযুক্তি প্রদর্শনী খাতে ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, পানি সংরক্ষণাগার নির্মাণে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা, মেরামত ও সংরক্ষণ খাতে ৯০ লাখ টাকা, গবেষণাগার সরঞ্জামাদি কেনাকাটায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন এসব বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছে যাচাই-বাছাই করে দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের কথা বলেছে।

পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) এ কে এম ফজলুল হক বলেন, বেশ কিছু খাতে তারা বেশি ব্যয় প্রস্তাব করেছে। সেগুলো যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য বলেছি এবং সকল অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কর্মকর্তারা বলছেন, পরিকল্পনা কমিশনের মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রকল্পের প্রস্তাব-ডিপিপি পুনর্গঠন করা হবে।

ইনস্টিটিউট বলছে, প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ১১টি জেলার ৫০টি উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় টেকসই মাটি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি প্রয়োগ, মাটি গুণাগুণের ভিত্তিতে শস্য উপযোগিতা নিরূপণে একদিকে ফসলের উৎপাদন বাড়বে, অন্যদিকে মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

প্রকল্পের আওতায় পাহাড়ের জমিতে চাষাবাদ উপযোগী ২০টি ফসলের জাত নির্বাচন করা হবে। আধুনিক ব্যবস্থাপনায় মাটি ক্ষয় ২ থেকে ৩ শতাংশ কমানো যাবে। পাহাড়ি এলাকায় কমপক্ষে ৫ শতাংশ ভূমির ব্যবহার বাড়বে। গবেষণাগার আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষাণ-কৃষাণিসহ মোট ৯৭২ ব্যাচ প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করা হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় মনে করে, পাহাড়ের পতিত জমিতে চাষাবাদের অপূর্ব সুযোগ রয়েছে। এই মাটিতে বিভিন্ন দেশি ফসলের পাশাপাশি বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফল ফসল আবাদ করা যায়। এতে ওই এলাকার মানুষের আয় বাড়ার পাশাপাশি জীবনযাত্রাও সহজ হবে।

প্রবা/এসআর

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা