চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩ ১৯:২৫ পিএম
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৩ ২০:০৮ পিএম
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘এজন্য উভয় দেশের মধ্যে ট্রেড ফ্যাসিলিটি আরও বাড়াতে হবে। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দরসমূহে কানেক্টিভিটির পাশাপাশি আধুনিকায়নের ওপর জোর দিতে হবে।’
শনিবার (২৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল) ও নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন ও নবনির্বাচিত পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বক্তব্য দেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘ভারত সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আরও সাতটি স্থলবন্দর গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করছে। এ ছাড়া বাণিজ্য সহজীকরণ করতে আমদানি-রপ্তানি পণ্য কীভাবে কমন টেস্টিং ফ্যাসিলিটির আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে উভয় দেশের কাজ করতে হবে।‘ তিনি চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের একক ও যৌথ বিনিয়োগের জন্য চেম্বার টু চেম্বার যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এফবিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ’ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। দুদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিশ্বে উদাহরণ তৈরি করেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রুপিতে বিনিময় আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া ভারত সাতটি প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি কোটায় বাংলাদেশকে রাখায় বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হলো প্রস্তাবিত কমপ্রিহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সিইপিএ)। এটি উভয় দেশের জন্য গেম চেঞ্জার হবে। যার মাধ্যমে দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৪০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।’
চেম্বার সভাপতি আরও বলেন, কানেক্টিভিটির দিক দিয়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারতের মাল্টিমোডাল যোগাযোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের চট্টগ্রামে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি। এটি নিরসনে বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে ভারতকে এগিয়ে আসা উচিত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট চুক্তি অনুযায়ী গত এপ্রিলে সর্বশেষ ট্রায়ালরান হলেও আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।’ ট্রানজিট চুক্তি অনুযায়ী কোনো সমস্যা না থাকলে এটি ফলপ্রসূ করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন, চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, নবনির্বাচিত পরিচালক মাহবুবুল হক মিয়াসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।