প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ২১:১২ পিএম
আইওএফএস ও এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা। প্রবা ফটো
আন্তর্জাতিক বাজারে হালাল পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে হালাল পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ জোরদারে ইসলামিক অর্গানাইজেশন ফর ফুড সিকিউরিটির (আইওএফএস) সহযোগিতা চায় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই। পাশাপাশি হালাল পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বাড়াতে এফবিসিসিআই ও আইওএফএস একসঙ্গে কাজ করবে।
সোমবার (২১ আগস্ট) আইওএফএস ও এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় উভয় সংস্থার পক্ষ থেকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘মুসলিম ও অমুসলিম উভয় দেশগুলোতেই ক্রমেই হালাল পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই বাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য দেশগুলো থেকে আসে। ২০২০ সালে হালাল পণ্যের বৈশ্বিক আকার ছিল ৩ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের হালাল পণ্য রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ হালাল পণ্য গেছে মুসলিম দেশগুলোতে।’
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আরও বলেন, স্থানীয় উৎপাদনকারী এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে হালাল সার্টিফিকেট প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে হালাল সার্টিফিকেশন বিভাগ চালু করেছে সরকার। কিন্তু হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে এখনও অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। হালাল পণ্যের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব বৃদ্ধি এবং হালাল সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সহজীকরণে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা চান তিনি।
মাহবুবুল আলম উল্লেখ করেন, সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের কৃষি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা এবং কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে অপর্যাপ্ততার কারণে সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, দেশের বিদ্যমান কৃষি অবকাঠামো এবং কোল্ড চেইন ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনের বৈপ্লবিক সাফল্যের প্রশংসা করে আইওএফএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক ইয়ারলান বাইদুলেট বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো সদস্য দেশ পেয়ে আমরা খুবই গর্বিত। আমরা কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে এখানকার বেসরকারি খাতের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী।’