প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৫৮ পিএম
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৯:১৩ পিএম
এটিএস এক্সপোতে ওয়ালটনের উৎপাদিত ই-বাইকে বসে উচ্ছ্বসিত পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রবা ফটো
ওয়ালটন আয়োজিত দেশের প্রথম একক শিল্পমেলা ‘ইন্টারন্যাশনাল
অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি (এটিএস) এক্সপো-২০২৩’ এর পর্দা নামলো।
দেশি-বিদেশি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই শিল্পমেলা।
শনিবার (১২ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর কুড়িলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়
হল-১ এ আয়োজিত এটিএস এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী
এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি
ঘোষ, নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির
সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ
এইচ এম শফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অথরিটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান শায়েখ
ইউসুফ হারুন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফায়েজুল আমীন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক তাহমিনা
আফরোজ তান্না, শাহরিয়ার আলম শুভ ও ফারিহা আলম প্রভা, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম
মুর্শেদ। সঞ্চালনায় ছিলেন কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান
‘সুস্মিতা ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স
ব্র্যান্ড হুন্দাইয়ের অথোরাইজড লাইসেন্সড প্রতিষ্ঠান ‘গোল্ডেনআর্ক কনজ্যুমার
ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড’সহ ‘গোল্ডস্টার হোম
অ্যাপ্লায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ’ এবং ভানু ইলেকট্রিক্যাল প্রোপারটিজের সঙ্গে
ওয়ালটনের ব্যবসায়িক চুক্তি সই হয়।
এটিএস এক্সপোর সমাপনী দিনে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন পরিকল্পনামন্ত্রী
এম এ মান্নান। এ সময় তিনি ওয়ালটনের অ্যাডভান্ডস টেকনোলজি, মেশিনারিজ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল
কম্পোনেন্টস ও পণ্য দেখে অভিভূত হন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ালটন লাস ভেগাসে’র ফেয়ারে অংশগ্রহণ
করেছে, জার্মানিতে পণ্য রপ্তানি করেছে- এসব সংবাদ যখন শুনি তখন খুব গর্ববোধ করি। আগে
ভাবতাম- জাপান, চীন এসব দেশ টেকনোলজি পণ্য ও কম্পোনেন্টস তৈরি করতে পারবে; আমরা পারব
না। কিন্তু এটিএস এক্সপোতে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট ও টেকনোলজি
পণ্য তৈরির সক্ষমতা দেখিয়েছে।’
ওয়ালটন হাই-টেকের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম বলেন, ‘এটিএস এক্সপো সর্বাত্মকভাবে
সফল হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি সাড়া পেয়েছি আমরা। দেশি-বিদেশি অনেক কোম্পানির
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মেলা পরিদর্শন করেছেন। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে আমরা খুবই
আনন্দিত এবং যা আগামীতে আরও এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের উৎসাহ যোগাবে। দেশে তৈরি
প্রতিটি পণ্য বা কম্পোনেন্ট দেশের আমদানি নির্ভরতা কমাবে। দেশীয় শিল্পখাতকে শক্তিশালী
করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, প্রথমবারের
মতো আয়োজিত এটিএস এক্সপোতে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। প্রতিবছর
যদি এই ধরণের শিল্পমেলা আয়োজন করতে পারি, তবে দেশীয় শিল্পোদ্যাক্তাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল
কম্পোনেন্টসের জন্য বিদেশের মেলাগুলোতে আর যেতে হবে না। এক্ষেত্রে আমরা তথা বাংলাদেশ
এখন যথেষ্ট স্বাবলম্বী। কোরিয়া, জাপানকে আমরা চিনেছি কয়েকটি ব্র্যান্ডের মাধ্যমে। অচিরেই
বিশ্ব ওয়ালটন পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশকে চিনবে।’
এটিএস
এক্সপোতে ৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ২১টি স্টলে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিকমানের ৫০ হাজারেরও
বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস এবং টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস
প্রদর্শন করা হয়েছে। এগুলোর অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধাপে প্রধান কাঁচামাল
ও কম্পোনেন্টস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।