× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঋণপত্র খোলায় ধারবাহিক পতন

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৩ ২০:৩৬ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

বিদায়ি অর্থবছরের এলসি (ঋণপত্র) খোলা কমেছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রভাব পড়েছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে। জুনে বেসরকারি খাতের ঋণে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা বিগত ১৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানির এলসি খোলা হয়। আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) এই সময়ে খোলা হয় ৯৪ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরে তার আগের অর্থবছরের তুলনায় এলসি খোলা কমেছে ২৪ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার বা ২৬ দশমিক ৪২ শতাংশ।

এলসি খোলা কমার পাশাপাশি নিষ্পত্তিও কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭০ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারের এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) এর পরিমাণ ছিল ৮৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। ফলে গত অর্থবছরে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ১৩ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ডলার সংকট ও কডাকড়ির কারণে এলসি খোলা কমেছে। এলসি খোলা কমলেও পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেনি। পরিমাণ কমলে বাজারে পণ্যের সংকট দেখা দিত। মূলত আগে আমদানি এলসি খোলার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করা হতো না। ফলে আমদানির আড়ালে অনেক অর্থপাচার হতো। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক নজরদারি বাড়ানোর কারণে ওভার-ইনভেয়েসিং কমে গেছে। ফলে আমদানির এলসি খোলাও কমেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র সারোয়ার হোসেন বলেন, গত অর্থবছরে ২৫ বিলিয়ন ডলারের মতো আমদানির এলসি খোলা কমেছে। আমদানির এলসি খোলা কমলেও কোয়ান্টিটি কমেনি। কোয়ান্টিটি কমলে মার্কেটে পণ্যের সংকট দেখা দিত। পণ্যের সংকট দেখা দিলে রপ্তানিতে আমাদের নেতিবাচক প্রভাব পড়ত। কিন্তু রপ্তানিতে কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় গত অর্থবছরে বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে আমাদের ডলার বাজার উন্নতির দিকে। বাজারে ডলারের লিকুউটিটি বেড়েছে। নেট ওপেন পজিশন পরিস্থিতি ভালো। এ ছাড়া ক্যাশ হোল্ডিং পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে, এক বছর আগেও যা ২ বিলিয়ন ডলারে ছিল। আর মার্কেটে ডলারে ক্যাশ হোল্ডিং পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ৯ মিলিয়ন ডলার নেগেটিভ থেকে ৩৭ মিলিয়ন ডলারে পজেটিভি। এ ছাড়া অনেক দিন পর সামগ্রিকভাবে ব্যাংকগুলোর ডলার ধারণের সীমা নেট ওপেন পজিশন লিমিট (এনওপি) ইতিবাচক ধারায় এসেছে।

এলসি খোলা কম হওয়ায় শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্র আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, শিল্পের কাঁচামালের এলসি খোলা কমেছে ৩১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ক্যাপিটাল মেশিনারি ৫৬ দশমিক ৯১ শতাংশ, ভোগ্যপণ্য ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং মধ্যবর্তী পণ্য ৩১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এলসি খোলা কমেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদনমুখী শিল্পের কাঁচামালের আমদানি কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়। সাময়িক স্বস্তি মিললেও দীর্ঘমেয়াদে আমদানি কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে ডলার সংকটের সময়ে অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখা উচিত।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা