প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:১৭ পিএম
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৩ ২০:০৬ পিএম
এরই মধ্যে বাইন্যান্সে তালিকাভুক্ত হয়েছে ওয়ার্ল্ডকয়েন। ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে কথোপকথনে সক্ষম জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান
এবার ক্রিপ্টো জগতে প্রবেশ করেছেন।
তিনি ইথারিয়াম চেইনের ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি টোকেন ওয়ার্ল্ডকয়েন
(ডব্লিউএলডি) সোমবার (২৪ জুলাই) উন্মোচন করেছেন। এরই মধ্যে তা বাইন্যান্স, পোলোনিক্সের
মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচার প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেছে।
বাইন্যান্সে উন্মোচনের দিনই এর দাম ৫ দশমিক ২৯ ডলারে চলে যায়। যদিও
মঙ্গলবার এর বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে, সর্বনিম্ন দাম ২ দশমিক ১১ ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন
টোকেন হয়েও এখনও এটি তার ভলিউম ধরে রেখেছে ২০০ মিলিয়ন ডলারে। এখন পর্যন্ত কয়েন মার্কেট
ক্যাপের তালিকায় এই টোকেনের অবস্থান ক্রিপ্টোকারেন্সি র্যাংকিং-এ ১২৪তম। যদিও প্রথম
দিনই তা শীর্ষ ১০০-এর মধ্যে ঢুকেছিল।
তবে এই দরপতনের পরেও বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপের ক্রিপ্টো
ইনফ্লুয়েন্সাররা টোকেনটির ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী। আবার অনেকেই দ্বিতীয় দিনেই টোকেনের
এই দরপতনে বিনিয়োগে ঝুঁকি দেখছেন।
ওয়ার্ল্ডকয়েন ভবিষ্যৎকে মাথায় রেখে তাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোডাক্ট ‘ওয়ার্ল্ড আইডি’ নিয়ে এসেছে। তারা এটিকে ডিজিটাল পাসপোর্ট হিসেবে উল্লেখ করছে, কারণ এর মাধ্যমে একটি সত্তা যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নয়, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ওয়ার্ল্ড আইডি পেতে হলে অবশ্যই একজন গ্রাহককে তাদের ওয়ার্ল্ড
কয়েনের বিশেষ টুল ব্যবহার করে চোখের রেটিনা স্ক্যান করে সাইন আপ করতে হবে। এর মাধ্যমেই
ভবিষ্যতে অনলাইন কার্যকলাপে যে সে প্রকৃত মানুষ তা বোঝা যাবে।
এরই মধ্যে মানুষের মতো সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা। ফলে ভবিষ্যতে যে ওয়ার্ল্ড আইডি সার্ভিস প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে, এটি বলাই
যায়।
তবে ওয়ার্ল্ডকয়েনের ক্রিপ্টো মার্কেটে প্রবেশ এমন সময় ঘটল
যখন অন্যান্য প্রধান কয়েনের ব্যাপক দরপতন ঘটছে। সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সির ফ্ল্যাগশিপ
মুদ্রা বিটকয়েনের দাম ৩০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। অথচ চলতি মাসেই এর দর ৩২ হাজার ডলার
ছাড়িয়ে গিয়েছিল। একই অবস্থা ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইথারিয়ামেরও।
ইনভেস্টিং ডট কমের তথ্যমতে, চলতি মাসেই ইথারিয়ামের দাম ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেলেও বর্তমানে
১ হাজার ৯০০ ডলারেরও নিচে নেমে গেছে।
চলমান ক্রিপ্টো দরপতনে কেবল ব্যাতিক্রম রিপল ও সোলানা। যুক্তরাষ্ট্রের
আদালতে এসইসির করা অভিযোগে রিপলের পক্ষে রায় দেয় বিচারক। এতে এক দিনের মধ্যেই রাতারাতি
উত্থান হয় কয়েনটির। চলতি মাসের শুরুতে যেখানে এর দর ছিল ৩৫ সেন্ট, তা সম্প্রতি গিয়ে
দাঁড়িয়েছিল ৮৩ সেন্টে। আদালতে সোলানার অভিযোগের মীমাংসা না হলেও রিপল ঝড়ে তারও মূল্য
বৃদ্ধি ঘটে। এক মাসের ব্যবধানেই এর দাম ১৪ ডলার থেকে ২৫ ডলার স্পর্শ করে।
সূত্র : বাইন্যান্স, কয়েন মার্কেট ক্যাপ, ট্রিবিউন