প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:৪৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের শস্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবারও চরম খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় গোটা বিশ্ব। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে বিশ্বব্যাপী আরেক দফা লাগামহীন হয়ে পড়বে খাবারের দাম। সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে আমদানিনির্ভর দরিদ্র দেশগুলোতে। খাদ্য আমদানিতে মস্কোর ওপর নির্ভরতা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ কৃষি গবেষক কার্লোস মেরা বলেন, রাশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় গম রফতানিকারক দেশ। বিশ্বব্যাপী ২০ শতাংশের বেশি গম সরবরাহ করে তারা। অর্থাৎ ইউক্রেন যদি রপ্তানি করতে না পারে, তাহলে আমদানিকারকরা রাশিয়ার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হবে। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দরিদ্র দেশগুলোর মস্কোর ওপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়বে। এরই মধ্য বিশ্ববাজারে গম ও ভুট্টার দাম বেড়েছে। ফলে রাশিয়া থেকে আমদানি করতে হলে বাড়তি দামেই শস্য কিনতে হবে তাদের।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর হঠাৎ করেই বিশ্বব্যাপী দেখা দেয় তীব্র খাদ্য সংকট। রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী হু হু করে বাড়তে থাকে খাদ্যসামগ্রীর দাম। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষর করে মস্কো-কিয়েভ। এর ফলে কিছুটা স্বস্তি আসে খাদ্যবাজারে।
কয়েক দফা নবায়ন হলেও এবার শস্য চুক্তি আর নবায়ন করেনি মস্কো। সূত্র : এপি