× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর সরকারের ঋণের চাপ বাড়ছে

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৪:১৭ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

চলতি অর্থবছরের প্রথম চার দিনে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ৩ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। এই ঋণ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পরিশোধ করেছে ১৬ কোটি টাকা। এতে চার দিনে সার্বিকভাবে সরকারের ব্যাংকঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বাজেট বাস্তবায়নে সরকার প্রতিবছরই ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়। পরে অর্থবছর শেষে রাজস্ব আয় থেকে সেই ঋণ পরিশোধও করে। এ ক্ষেত্রে অর্থবছরের শেষ দিকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিতে দেখা যায় সরকারকে। কিন্তু চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম থেকেই ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া শুরু করেছে সরকার। এই ঋণের পুরোটাই নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে। যদিও চলতি বছরের এখন পর্যন্ত সরকার নতুন টাকার জোগান থেকে কোনো ঋণ নেয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এত বেশি ঋণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। এতে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়াসহ টাকার মান আরও অবমূল্যায়ন হতে পারে বলেও মত তাদের।

এদিকে, সরকারের অব্যাহত ব্যাংকঋণের কারণে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮৩০ কোটি টাকা। এক বছর আগে সরকারের ব্যাংকঋণ ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া মোট ঋণ ১ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। ২০২২ সালের একই সময়ে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। আর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা।

ব্যাংকাররা বলছেন, অর্থনৈতিক সংকট, সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ না পাওয়া ও সঞ্চয়পত্রের পূর্বে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের প্রথম দিক থেকেই ব্যাংকের ওপর ভর করতে হয়েছে সরকারকে। এতে বছরের প্রথম দিক থেকেই ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে নতুন করে ঋণ নিতে হয়েছে। আবার এসব ঋণের বেশিরভাগই জোগান এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিভল্বমেন্ট (নতুন টাকার জোগান) ফান্ড থেকে।

এ বিষয়ে গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটা অর্থনীতির ওপর খারাপ প্রভাব তৈরি করবে। সরকার এই কাজ করছে দুটি কারণে। একটি হচ্ছে, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক চাচ্ছে ব্যাংকঋণের সুদের হার যাতে কোনোভাবেই না বাড়ে। এজন্য কারসাজি করে ব্যাংকগুলোকে বিল বন্ড কিনতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাংকগুলো যদি বিল বা বন্ড কিনে, তাহলে তারা বেশি দরে বিট করবে। আর ঋণের সুদের হার বেড়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, সরকার চলতি অর্থবছর সোয়া লাখ কোটি টাকা ছাপানোর চিন্তা করছে। এজন্য তারা এভাবে ঋণ নিচ্ছে।

ডলার ক্রয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কেট থেকে টাকা টেনে নিয়ে মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ হলেও তা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব আরও খারাপ হবে। কারণ মার্কেটে ডলার ছাড়ার মাধ্যমে দেশের রিজার্ভের ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে ডলারের ওপর চাপ তৈরি হবে। এতে টাকার অবমূল্যায়ন হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি করে দেবে। অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি বাজারে ডলার না ছেড়ে ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধি করে দিত, তাহলে সময় একটু বেশি লাগলেও তারল্য সংকট কেটে যেত। পাশাপাশি ডলারের দামও কমে আসত। বাজারে কিছু দিন ডলার সংকট থাকলে অর্থ পাচারও কিছুটা কমে আসত।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা