প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩ ২০:৩০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
তিন মাসের ব্যবধানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে (এসএমই) ঋণ বিতরণ কমেছে ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। বিদায়ি ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এই ঋণ বিতরণ কমেছে। ব্যাংকাররা বলছেন, আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়েছে এ খাতের ঋণে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর তিন মাসে ৬০ হাজার ৬১২ কোটি টাকার ক্ষুদ্র বা এসএমই ঋণ বিতরণ করেছিল ব্যাংকগুলো। কিন্তু জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, আর্থিক সংকটের কারণে এই তিন মাসে ঋণ বিতরণ কমতে পারে। তবে সার্বিক হিসেবে এসএমই খাতের মোট বিতরণ বেড়েছে। কারণ আগের ঋণের সঙ্গে বর্তমানের অঙ্ক যোগ হয়েছে। এখন ব্যাংকগুলোকে বড় ঋণ বিতরণের চেয়ে ছোট ঋণ বিতরণে বেশি তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু ক্ষুদ্রঋণে ছোট ব্যবসায়ীরা এবং সাধারণ শ্রমিকরা লাভবান হন, তাই এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তৎপর রয়েছে। ছোট ঋণ আদায়ও ভালো। আগামীতে ছোট ঋণ বিতরণ আরও বাড়বে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলেন, কোভিডকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এ ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতি সামলিয়ে টিকে থাকতে পারেন, সেজন্য সরকার তাদের কয়েক দফায় স্বল্প সুদে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ দিয়েছে। তারপরও অনেক ছোট ব্যবসায়ী কম বিনিয়োগ করেছেন। কোভিড-১৯-এর প্রভাব এখন আর নেই, তাই নতুন বিনিয়োগের কারণে ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে আমদানি-রপ্তানিও।
চলতি বছরের ১৬ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ানোর এই নির্দেশনা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে সিএমএসএমই খাতে যে ঋণ বিতরণ করা হবে, তার ৫০ শতাংশ দিতে হবে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগে। আর নারী উদ্যোগে দিতে হবে ১৫ শতাংশ ঋণ। সিএমএসএমই খাতে মোট যে ঋণ দেওয়া হবে, তার মধ্যে ৪০ শতাংশ যাবে উৎপাদনশীল খাতে, সেবা খাতে ২৫ শতাংশ ও ব্যবসা খাতে ৩৫ শতাংশ। এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের কম সুদে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য চালু করা হয়েছে একাধিক পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। আবার এসএমই ঋণে গ্যারান্টি সুবিধাও দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।