× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইউটিউবে দেখে আঙ্গুর চাষি

বরিশাল প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:০৬ পিএম

নিজ বাগানে আঙ্গুরের মাচা পরিদর্শন করছেন লাভলী বেগম। প্রবা ফটো

নিজ বাগানে আঙ্গুরের মাচা পরিদর্শন করছেন লাভলী বেগম। প্রবা ফটো

ইউটিউবে দেখে আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হয়েছিলেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা গ্রামের গৃহবধূ লাভলী বেগম। এতে তিনি অনেকটা সফলও হয়েছেন। স্বপ্ন দেখছেন আঙ্গুর চাষ করে একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার। তাই শখ থেকে বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষের পরিকল্পনা করছেন তিনি।

লাভলী বেগম ওই গ্রামের সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের স্ত্রী। ইতোমধ্যে তার আঙ্গুর বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন মানুষ। ২০২২ সালের মার্চ মাসের দিকে শখের বশে বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত জমিতে আঙ্গুরের চাষ শুরু করেন লাভলী বেগম। প্রথম আবাদেই সন্তোষজনক আঙ্গুরের ফলন হওয়ায় আগামী মৌসুমে পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন তিনি। 

লাভলী বেগম বলেন, ঝিনাইদহের এক আঙ্গুর চাষির ইউটিউব দেখে তার ভালো লাগে। পরে ওই চাষির মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে ৪৬টি আঙ্গুর গাছের কলম সংগ্রহ করি। প্রতি পিস কলমের দাম পড়ে ৫০০ টাকা। এতে ব্যয় হয় ২৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাচা তৈরি করতে ৮০ হাজার ও মাটি প্রস্তুতির পেছনে ব্যয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। সব মিলে আঙ্গুর চাষের পেছনে খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। 

বাগানের আঙ্গুরগুলো কাশ্মিরের ছমছম প্রজাতির আঙ্গুর বলে জানান এই চাষি। প্রথমবার চাষে সন্তোষজনক ফলন আসায় আগামী মৌসুমে আরও ১২ শতাংশ জমিতে আঙ্গুর চাষের পরিকল্পনা করছেন তিনি। লাভলী বেগম বলেন, কলম লাগানোর ৭ মাস পরে প্রথমে কয়েক থোকা আঙ্গুর হয়। তখন ভয়ে ছিলাম টক নাকি মিষ্টি হয় সেজন্য। পরে সবগুলো গাছেই পর্যাপ্ত আঙ্গুর ধরেছে। আঙ্গুরগুলো মোটামুটি মিষ্টি। ২০০ টাকা কেজি দরে ১৪ কেজি আঙ্গুর বিক্রি করেন তিনি। গাছে আরও ৩০ কেজির মতো রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কাশ্মিরের মাটির সঙ্গে বরিশালের মাটির অনেক পার্থক্য। তবে আঙ্গুর চাষ করে আমার মনে হয়েছে, সব মাটিতেই সুস্বাদু এই ফল হয়। সৌখিন এই চাষি বলেন, আঙ্গুরের একটি গাছ ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এখন আঙ্গুরের পাশাপাশি ৩০০ টাকা করে এই গাছের কলমও বিক্রি করছেন তিনি। প্রতিদিনই অনেক লোক বাগান দেখতে আসেন। কেউ কেউ আঙ্গুর ও গাছের কলম কিনে নেন।

লাভলী বেগমের দেবর আনিসুর রহমান বলেন, ‘ভাবি প্রথমে চিন্তা করেন আঙ্গুর চাষের। তার চিন্তার সঙ্গে একমত হয়ে আমরা পরিবারের সবাই তাকে সহায়তা করেছি। এখন এই বাগান আরও বড় বানাবেন। তাই পড়ে থাকা ১২ শতক নিচু জমি ভরাট করছেন। আগামী মৌসুমে সেখানে আঙ্গুর গাছ লাগাবেন। আমরাও পরিবারের সবাই ভাবিকে আঙ্গুর চাষের জন্য আগ্রহী করে তুলছি।’ 

স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন হাওলাদার বলেন, লাভলী বেগম যখন এখানে কাশ্মিরের আঙ্গুর লাগাবে শুনেছি, তখন আমরা অনেকেই বলেছি যে, এই মাটিতে আঙ্গুর! তাও আবার কাশ্মিরি, ফলন নাও হতে পারে। টাকাগুলো জলে ফেলছে। পরে দেখি গাছে আঙ্গুরও ধরেছে। তবে সেগুলো দেখতে মনে হচ্ছিল মনক্কা। কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিসার এসে দেখে এবং খেয়ে বলেছেন। এগুলো মনক্কা নয়। কাশ্মিরি গোল প্রজাতির আঙ্গুর।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ‘কৃষক লাভলী বেগম নিজ উদ্যোগে পরিত্যক্ত জমিতে আঙ্গুর চাষ করেছেন। তাকে বিভিন্ন সময়ে আমরা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছি। তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যান্য কৃষক যারা আঙ্গুর চাষ করবেন তাদেরও আমরা একইভাবে সহায়তা করব। এভাবে ফল চাষ সম্প্রসারণ হবে। আমরা আশা করছি, এভাবে ফল চাষ বাড়াতে পারলে আঙ্গুরের আমদানি অনেকাংশে কমে যাবে।’


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা