× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আয়করে পিছিয়ে থেকেই বছর পার

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩ ২০:২৫ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

প্রতি অর্থবছরের মতোই বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরেও ১৯ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ঘাটতি নিয়ে বছর শেষ করলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগ। আলোচ্য অর্থবছরে আয়কর আদায়ের লক্ষ্য ছিলো এক লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। তবে এর বিপরীতে আদায় হয়েছে এক লাখ দুই হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। 

ভ্রমন কর সহ হিসাব করলে আয়কর আদায় দাঁড়ায় এক লাখ ১২ হাজার ৯২০ কোটি টাকায়, সে হিসেবে ঘাটতি নয় হাজার ১৮০ কোটি টাকা। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগের অবস্থানে যেতে না পারায় এই ঘাটতি হয়েছে বলে মনে করেন এনবিআর কর্মকর্তারা।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত আয়কর আদায় হয়েছিলো ৮৮ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। সে হিসেবে লক্ষ্যপূরণ করতে আয়কর বিভাগকে ৩৩ হাজার ১৪১ কোটি টাকা আদায় করতে হত। অথচ এনবিআর গত জুনে আদায় করতে পেরেছে ২৩ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের আগে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বছর শেষেই লক্ষ্যপূরণ হয়ে যাবে বললেও এখন তাদের মুখে ভিন্ন সুর।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছর ইতিমধ্যেই গত হয়ে গেছে। এখন আমরা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কিভাবে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা যায় তার ছক তৈরি করেছি। এখন চাইলেও কর আদায়ে গাফিলতি করার সুযোগ নেই। আন্তর্জতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেটা পূরণ করতে না পারলে ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে সমস্যা হবে। এছাড়া কর বাড়াতে এনবিআর এমনিতেই তৎপর। আমাদের প্রবৃদ্ধি এখন পর্যন্ত খারাপ না।

বাংলাদেশ সরকারকে চার দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার শর্ত হিসেবে এনবিআর কি পদক্ষেপ নিচ্ছে জানতে চেয়েছিলো আইএমএফ। 

এনবিআরের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আইএমএফ এক লাখ ৩৭ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা আয়কর আদায় করতে বলেছে। কিভাবে এটা বাস্তবায়ন করা যাবে, সে বিষয়ে এনবিআরের পক্ষ থেকে কোন সদুত্তর না দেওয়ায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে বারবার চাপ দেওয়া হয়েছে। তারই প্রেক্ষাপটে এনবিআর একটি পরিকল্পনা দিয়েছে।

এনবিআর সূত্র আইএমএফকে তাদের পরিকল্পনায় জানায়, করোনা মহামারির সময়ে ২০১৯-২০ অর্থবছর ছাড়া প্রতিটি অর্থবছরে আয়কর খাতে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। একই ধরণের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলে স্বাভাবিকভাবে রাজস্ব আদায় হবে এক লাখ এক লাখ ৩২ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা আদায় করতে এনবিআর ভিন্নভাবে পরিকল্পনা নিয়েছে।

সে পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভূমি রেজিস্ট্রেশন বাবদ ৩ হাজার কোটি টাকা, ভ্রমন করে ৫০০ কোটি টাকা, টোবাকো খাতে ৩০০ কোটি টাকা, পরিবেশ সারচার্জ হিসেবে ১৫০ কোটি টাকা ও করের আওতা বাড়িয়ে ২৫০ কোটি টাকা আদায় করা হবে। 

এনবিআরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন করে কর অব্যাহতি না দেওয়া এবং ধীরে ধীরে অব্যাহতি কমিয়ে আনা, পর্যায়ক্রমে করহার বৃদ্ধি করা, করনেট বৃদ্ধি, ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) ও এনবিআরকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে কর আদায় ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হবে।

তবে কর আদায় বাড়াতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা, ভোগান্তির নিরসন প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বড় লক্ষ্যমাত্রা অর্জণে ব্যাপক সংস্কারের পরামর্শ তাদের।

কর আদায় বাড়াতে করণীয় কী-জানতে চাইলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, এখন পর্যন্ত কর আদায় বাড়াতে যেসব কথা বলা হচ্ছে তা একেবারেই প্রান্তিক। কর আদায় বাড়াতে চাইলে করখাতে সংস্কার করতে হবে। বড় লক্ষ্যমাত্রা দেয়ার আগে দেখতে হবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আইএমএফ বলেছে, কর-জিডিপির অনুপাত বাড়াতে। কিন্তু বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায়, আমরা উল্টাপথে হাঁটছি। এতে করে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ার বদলে উল্টো কমে যাচ্ছে।

বাংলাদেশকে দেয়া আইএমএফের অনুমোদিত ঋণের বড় শর্ত হচ্ছে, রাজস্ব খাতে সংস্কার আনতে হবে। এক্ষেত্রে আগামী অর্থবছর থেকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তি কর আদায় করতে হবে সরকারকে। দেশে কর জিডিপির অনুপাত বাড়াতে ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপির শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কর বাড়াতে হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা