প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৩ ০৯:১২ এএম
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৩ ১২:১৭ পিএম
১৯ বছর বয়সি ক্লোয়ি ঝু। ছবি : সংগৃহীত
নিজের স্নাতকের পড়াশোনার পাশাপাশি এক কামরার ফ্ল্যাটে পড়ুয়াদের কোচিং করিয়ে রোজগার করতেন তিনি। বছর দুয়েক আগে লকডাউন চলাকালে নিজের পড়াশোনা থেকে শুরু করে কোচিংয়ের ক্লাস সবই ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় পা রাখেন ১৯ বছর বয়সি ক্লোয়ি ঝু। গড়ে তোলেন নখসজ্জার নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘গ্লোয়ি’।
আর এর পর থেকেই দিনে ৮ লাখ টাকা আয় করছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বাসিন্দা ঝু। তার ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘৭নিউজ’।
ব্যবসার ঝুঁকি অবশ্য পুরোপুরি নিজের তাগিদে নিয়েছিলেন ঝু। কোভিডের জেরে দেশে লকডাউন চলছিল। স্কুল-কলেজ, দোকানপাট থেকে তালা ঝুলছিল পারলারেও। তবে ম্যানিকিওর করানোর প্রয়োজন ছিল ঝুর। কিন্তু সব পারলারেই তো ঝাঁপ ফেলা রয়েছে। কী করবেন?
তাই খুব বেশি না ভেবে নখসজ্জার নিজের ব্র্যান্ড গড়ে ফেলেন। তার আগে অবশ্য এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছিলেন তিনি। নখসজ্জার নিজস্ব ব্র্যান্ড গড়তে ব্যবসাসংক্রান্ত বিষয়ে দিনরাত গবেষণায় লেগে ছিলেন ক্লোয়ি।
তিনি বলেন, ‘ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়েছিলাম। বাজারে কী কী প্রোডাক্ট রয়েছে, কারা সেসব তৈরি করছে বা কোন জিনিসের কেমন চাহিদা—খুঁটিনাটি সব খুঁজে বের করতে শুরু করেছিলাম।’
নখসজ্জার বাজার সম্পর্কে বিস্তর অনুসন্ধানে নিজের নাম ক্লোয়ির সঙ্গে মিল রেখে গড়ে তোলেন নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘গ্লোয়ি’।
কোচিং করিয়ে যে সঞ্চয় করেছিলেন, তা থেকে নিজের ব্যবসায় প্রায় ২১ লাখ টাকা ঢেলেছিলেন।
ক্লোয়ি বলেন, ‘ব্যবসার সবকিছুই শুরু হয়েছিল কোভিডের সময় এবং সেটা আমার বেডরুম থেকেই।’
গ্লোয়ির জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করা, কনটেন্ট লেখা থেকে শুরু করে নখসজ্জার জিনিসপত্র বাক্সবন্দি করে ফেলা—এ সবই একার হাতে সামলেছেন তিনি।
ব্যবসার কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও প্রথম দিন থেকেই ভালোই বিক্রি হয়েছিল গ্লোয়ির। ব্র্যান্ডের জন্য যে টিকটক ভিডিও তৈরি করেছিলেন, সেটাও মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছিল।
নতুন ব্যবসা দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর কোচিং করানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন ঝু।
পুঁথিগত বিদ্যায় ভর করে ব্যবসা দাঁড় করানো যায় না বলে মনে করেন তিনি।
তার ভাষ্যমতে, ‘ব্যবসার প্রস্তুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কাজে আসেনি। বরং ইন্টারনেটে খুঁটিনাটি সুলুকসন্ধান করা বা ই-কমার্সের ক্ষেত্রের লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করে এ ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি।’
তিনি জানিয়েছেন, সাধারণত এক দিনে ৮ লাখ টাকার বিক্রি হয়। গত এপ্রিলে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আয় করেছেন।
ব্যবসার মতো অনিশ্চিত ক্ষেত্রে পা বাড়াতে আগ্রহীদের জন্য ঝু বলেন, ‘শুরু করে দাও। ধীরে ধীরে যত এগোবে, সবকিছু বুঝতে পারবে। প্রথমবার ব্যবসা করতে নেমে আমার কোনো ধারণাই ছিল না, কী করছি। তবে ব্যবসা সম্পর্কিত যা কিছু পেতাম, স্পঞ্জের মতো শুষে নিতাম।’
সূত্র : নিউজ১৮