প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৩ ১৩:০৮ পিএম
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৩ ১৩:১১ পিএম
বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) সহ-সভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ বলেছেন, ‘প্লাস্টিকের দূষণ সর্বগ্রাসী আকার ধারণ করছে। পানি, ভূমি সব জায়গায় প্লাস্টিকের দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব প্লাস্টিকসামগ্রী মাইক্রো প্লাস্টিকে পরিণত হলে মাছ এগুলোকে খাবার ভেবে খাচ্ছে। বর্তমানে সাগরে যে পরিমাণ প্লাস্টিক জমেছে, তা যত মাছ আছে তার সমান।’
বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩ উপলক্ষে শনিবার (২৫ জুন) সকালে রাজধানী ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাপা আয়োজিত ‘পলিথিন-প্লাস্টিক দূষণে বিপন্ন বাংলাদেশ: করণীয় ও প্রতিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বাপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও স্থপতি ইকবাল হাবিবের উপস্থাপনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহ-সভাপতি ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ। বক্তব্য রাখেন বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস প্রমুখ।
ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘প্যাকেজিং খাতে নেসলে, কোকা কোলা, ইউনিলিভার, কোলগেট কোম্পানিগুলো এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক ব্যবহার করে থাকে। বিশ্বব্যাপী যে পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যবহার হয়, তার মধ্যে এশিয়ায় ৩৮ শতাংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০২ সালে বাংলাদেশে আইন করে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা হয়। কিন্তু এখন ভিন্ন নামে তা ব্যবহার হচ্ছে। দেশে বছরে ৮০ লাখ টন পলিথিন ব্যবহার হয়। এসবের মধ্যে ৩৯ ভাগ জমিতে যায় এবং ৩৬ ভাগ রিসাইকেল করা হয়।’
প্লাস্টিকে ভূমি ও পানির ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয়। মাটির নিচে পানি যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়। এতে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি সাগরে এতো পরিমাণ প্লাস্টিক জমেছে, তা ইচ্ছা করলেই সব পরিষ্কার করা সম্ভব হবে না। তাতে দেখা যায়, সাগরে যে পরিমাণ প্লাস্টিক আছে, তা যত মাছ আছে তার প্রায় সমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা ব্রিজের কাজের সময়ও পলিথিন পাওয়া গেছে। এতে অনেক সময় কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’
বাপা সহ-সভাপতি বলেন, ‘তেল থেকে প্লাস্টিক তৈরি করা হয়। পর্যায়ক্রমে তা আবার তেলে ফিরিয়ে নেওয়া যায়। প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে কেনিয়াতে জরিমানা করা হয়। চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে করতে প্রচার চালাচ্ছে। বর্তমানে বায়োপ্লাস্টিক তৈরি করা হচ্ছে; তবে এটির স্থায়ী সমাধান নয়।’