× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ৮৪ হাজার

আনিছুর রহমান

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩ ১২:০৪ পিএম

আপডেট : ২২ জুন ২০২৩ ১২:০৬ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে পুঁজিবাজারে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড-সিডিবিএলের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত বেনিফিশিয়ারি ওনার্স-বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫১টি বা ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এই ১২ মাসের মধ্যে গত বছরের জুলাই ও চলতি বছরের জুন মাসে বিও হিসাব কমেছে।

সবচেয়ে বেশি কমেছে গত বছরের জুলাই মাসে। ওই মাসে বিও হিসাব কমেছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৫৩৮টি। কারণ প্রতিবছর ৩০ জুনের মধ্যে বিও হিসাব পরিচালনার জন্য নবায়ন ফি জমা দিতে হয়। বছর শেষে যাদের বিও হিসাবে নবায়ন ফির সমপরিমাণ টাকা থাকে না তাদের হিসাব বন্ধ করে দেয় সিডিবিএল। এ ছাড়া চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত বিও হিসাব কমেছে ৩ হাজার ৯১৬টি।

গত বছরের জুলাই পরবর্তী মাসগুলোতে একটু একটু করে বিও হিসাব বেড়েছে। নতুন করে হিসাব খুলে পুঁজিবাজারে এসেছেন এসব বিনিয়োগকারীর বড় অংশ। পরবর্তী মাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিও হিসাব খোলা হয় গত আগস্ট মাসে। 

ওই মাসে নতুন করে বিও হিসাব খোলা হয়েছে ৯ হাজার ৪৫৭টি। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে ৫ হাজার ৩৩৬, অক্টোবরে ৪ হাজার ৬৮২, নভেম্বরে ৪ হাজার ৯৫৪, ডিসেম্বরে ২ হাজার ৯৮৮, জানুয়ারিতে ৪ হাজার ৩৭১, ফেব্রুয়ারিতে ২ হাজার ২৩৩, মার্চে ২ হাজার ৭০০, এপ্রিলে ১৮৯ এবং মে মাসে ১ হাজার ৮৯৩টি নতুন বিও হিসাব খোলা হয়। কিন্তু গত ১০ মাস টানা বৃদ্ধি পেলেও চলতি জুনে বিও হিসাব আরেক দফায় কমেছে।

মোট সংখ্যা বড় আকারে হ্রাস পেলেও বেড়েছে কোম্পানি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিও হিসাব সংখ্যা। গত প্রায় ১২ মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিও হিসাব বেড়েছে ৬৭০টি। গত বছরের জুন শেষে প্রাতিষ্ঠানিক বিও হিসাব ছিল ১৬ হাজার ১৮৫টি, যা চলতি মাসের ২০ তারিখে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৫৫টিতে। এই সময়ে গত জুলাই মাসে প্রাতিষ্ঠানিক বিও হিসাব কমে ৩৭১টি। তবে পরের ১১ মাসেই এসব বিও হিসাব একটু একটু করে বেড়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোম্পানির বিও হিসাব বাড়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। আর নতুন করে কম বিও হিসাব যুক্ত হয়েছে চলতি জুন মাসে। এই মাসে নিট ৩৮টি কোম্পানি বিও হিসাব খুলেছে।

এদিকে পুরুষ ও নারী বিও হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই সময়ে পুরুষের চেয়ে তুলনামূলক হারে নারীদের বিও হিসাব বেশি কমেছে। গত ১২ মাসে নারী বিও হিসাব কমেছে ৫৫ হাজার ৩৪৫টি বা ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। বর্তমানে নারী বিও হিসাব ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮০টি। আর পুরুষ বিও হিসাব কমেছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৭৬টি বা ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। বর্তমানে পুরুষ বিও হিসাব ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ২৩৬টি। 

কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ সম্মেলন বা রোড শো করেও বাড়ানো যায়নি প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। চলতি অর্থবছরে এই সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিও হিসাব কমেছে ১৩ হাজার ১৭২টি বা ১৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। বর্তমানে এ ধরনের বিও হিসাব আছে ৬২ হাজার ৮টি। 

প্রতিবছর ৩০ জুনের মধ্যে বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন করতে হয়। এর জন্য ৪৫০ টাকা লাগে। যার মধ্যে সিডিবিএল পায় ১০০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস পায় ১০০ টাকা, বিএসইসি পায় ৫০ টাকা এবং সরকারি কোষাগারে যায় ২০০ টাকা। জুনের মধ্যে টাকা না দিলে জুলাই মাসে অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা স্থগিত করে সিডিবিএল।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, নানা ধরনের অস্থিরতার কারণে পুরোনো বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার ছাড়ছে। সেখানে নতুন বিনিয়োগকারীরা কেন আকৃষ্ট হবে? এই দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে সুবিধা করা যায় না। প্রস্তাবিত বাজেটেও নেই কোনো সুখবর। উল্লেখ করার মতো কর সুবিধাও নেই। তাহলে মানুষ কেন পুঁজিবাজারে আসবে? ভালো কোম্পানির সঙ্গে সাধারণ মানুষ পুঁজিবাজারে আসে। কিন্তু দীর্ঘদিন কোনো ভালো কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনা যায়নি। এসব কারণেই বিও হিসাব কমেছে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা