× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

হাটের আগেই চড়া পশুর দাম

সোহেল চৌধুরী

প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩ ১৪:৪৬ পিএম

হাটের আগেই চড়া পশুর দাম

বছর ঘুরে ঈদুল আজহা এলেই আলোচনার তুঙ্গে থাকে গবাদিপশুর দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। 

খামারিদের দাবি, গোখাদ্যসহ অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার গবাদিপশুর দাম কিছুটা বাড়বে। তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, চাহিদার তুলনায় গবাদিপশুর পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তাই ঘাটতি বা সংকট না হওয়ার পাশাপশি বাড়বে না দাম।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছর কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি, যা গত বছরের চেয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি বেশি। এক বছরের ব্যবধানে কোরবানিযোগ্য পশু বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া আর ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু রয়েছে।

কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রামে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহীতে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনায় ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশালে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেটে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুরে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে।

এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। চাহিদার তুলনায় এ বছর ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।

এক বছরের ব্যবধানে গবাদিপশুর সংখ্যা বাড়লেও দাম নিয়ে অভিযোগ তুলছেন ক্রেতাসাধারণ। ক্রেতাদের দাবি, নির্ধারিত বাজেটে মিলছে না গবাদিপশু। চড়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।

এই যেমন বেসরকারি চাকরিজীবী নাসিফ আহমেদ। গত দুদিন ধরে রাজধানীর বেশ কয়েকটি খামারে ঘুরছেন গরু কেনার আশায়। বিভিন্ন খামারে ঘুরে গরু পছন্দ হলেও চড়া দামের কারণে হিসাব মেলাতে পারছেন না তিনি।

এ বছর কেমন দেখছেন দামÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুদিন ধরে ঘুরছি এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। গরু পছন্দ হচ্ছে, তবে দামের কারণে হিসাব মেলাতে পারছি না। গত বছর যে গরু এক লাখ টাকা দাম ছিল, এ বছর তার দাম উঠেছে দেড় লাখ টাকারও বেশি। গরু তো কিনতে হবেই। ঘুরছি বাজেট অনুযায়ী কিভাবে গরু কেনা যায় তার জন্য।’

আরেক ক্রেতা রেজাউল তালুকদার বলেন, ‘এ বছর দামটা আসলেই অনেক বেশি। খামারিরা বলছেন সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। তার পরও দামটা কিভাবে যৌক্তিক পর্যায়ে আনা যায়, সে বিষয়ে নজর দেয়া উচিত।’

কতটুকু বেড়েছে গোখাদ্যের দাম বা উৎপাদন খরচ- এ বিষয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থিত সাদেক অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গরুর খাদ্য কুড়া ও ভুসির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য খরচ তো আছেই। অন্যান্য খরচ বলতে বিদ্যুৎ খরচ, শ্রমিক খরচ ইত্যাদি। কুড়া ও ভুসির দাম যদি গত বছরের সঙ্গে তুলনা করে বলি তাহলে দেখা যায়, গত বছর এক কেজি কুড়ার দাম ছিল ১২ থেকে ১৩ টাকা। এ বছর তার দাম উঠেছে ২০ থেকে ২২ টাকা। আর এক কেজি ভুসির দাম গত বছর ছিল ৪৫ টাকা, এ বছর তার দাম হয়েছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা।’

দাম ও বিক্রয় কার্যক্রম নিয়ে আরেক খামারি তারেক মিয়া বলেন, ‘গরুর দাম আকারভেদে ২০০ থেকে ৪০০ কেজি ওজনেরটা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায়, গত বছর যা ছিল ৪৭৫ টাকা। এবার গরুর বেচাকেনাটা কম হচ্ছে। কয়েক দিন পরেই ঈদ। এখনও ক্রেতারা তেমন আসা-যাওয়া করছেন না। গত বছর এক মাস আগে থেকেই ক্রেতারা কিনে রেখে যেতেন। দেখি সামনের দিনগুলোতে কেমন সাড়া পাই। তবে খরচ অনুযায়ী এ বছর গরুর দাম তেমন বাড়েনি।’

গবাদিপশুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ বছর গবাদিপশুর সরবরাহ পরিস্থিতি বেশ ভালো থাকবে। চাহিদার তুলনায় গবাদিপশু রয়েছে অধিক। সুতরাং সংকট হবে না। আর বাজারে যেহেতু অধিক গবাদিপশু থাকবে, সুতরাং দামও কম থাকবে। গোখাদ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে এটা সত্যি, তবে ঘাসের উৎপাদনও বেড়েছে বেশ। গ্রামাঞ্চলে এখন গবাদিপশুকে ঘাস খাওয়ানোই বেশি হয়। আমরাও ঘাস উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন বাজারে অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আমরা সবাই তৎপর আছি। কেউ অহেতুক ঝামেলা বা অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোরবানির পশুর হাট সার্বক্ষণিক তদারক করা হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা