প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩ ১৮:৩৩ পিএম
চিনির দাম ২৫ টাকা বাড়াতে চায় মিল মালিকরা। ফাইল ফটো
ঈদুল আজহার আগেই চিনির দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বাড়াতে চায় মিল মালিকরা। সোমবার (১৯ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
মিল মালিকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন করে প্রতিকেজি খোলা চিনির দাম হবে ১৪৫ টাকা। আর প্যাকেটজাত চিনির দাম হবে ১৫০ টাকা। আগামী ২২ জুন থেকে এ দাম কার্যকর করতে চান ব্যবসায়ীরা।
এর আগে গত ১১ মে চিনিরা দাম বাড়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তখন খোলা চিনির দাম কেজিপ্রতি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সেসময় চিনির দাম বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বাজারে চিনির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখা, সাধারণ ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিবেচনায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) কর্তৃক প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনির (খোলা) মিলগেটে মূল্য ১১৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১১৭ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া প্যাকেটজাত প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি মিলগেটে ১১৯ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১২১ টাকা ও খুচরায় ১২৫ টাকা নির্ধারণ করার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, সরকারের এই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে চিনি। এরমধ্যে আবার চিনির দাম বাড়াতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
কয়েক মাস আগে রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার চিনি আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে ৩০ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। একইসঙ্গে, সরকার অপরিশোধিত চিনি আমদানির ওপর থেকে টন প্রতি ৩ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর থেকে টনপ্রতি ৬ হাজার টাকা নির্দিষ্ট শুল্ক প্রত্যাহার করে।
তবে এ সুবিধা এখন বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম রহমান। তিনি বলেন, ‘যে শুল্ক কমিয়েছিল সেটা আবার বাড়িয়ে দেওয়ায় কেজিতে ৮ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে। তার ওপর আন্তর্জাতিক বাজারে এখন চিনির দাম বেশি। ডলারের দাম বেড়ে গেছে। আবার ডলার সংকটে ব্যাংকগুলো এলসি খুলছে না। এসব কারণে চিনির দাম বাড়ছে। দাম কমানোর জন্য সরকার এখন আমাদের ভর্তূকি দিতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের কাছে আমরা চিনির দাম বাড়ানো জন্য আবেদন করেছি। সেখানে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৪০ টাকার মতো প্রস্তাব করা হয়েছে বলে তিনি যোগ করেন।
গত ১১ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভায় ভোগ্যপণ্যের বর্তমান সরবরাহ পরিস্থিতির ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এই প্রতিবেদনে চিনির সরবরাহ ঘাটতির তথ্য উঠে আসে। ২০২৩ অর্থবছরে চিনির সরবরাহ ঘাটতি ৭২ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। চিনির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন, কিন্তু ডলার সংকটের কারণে আমদানি কম হওয়ায় এই সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।