× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

'স্বপ্ন' ফিরছে নতুন রূপে

এম আর মাসফি

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩ ১৬:১৩ পিএম

'স্বপ্ন' ফিরছে নতুন রূপে

বৈদেশিক সহায়তার আশায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র নারীদের সামর্থ্য উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন) ২০১৫ সালে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পে ৬৪০ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার কথা ছিল, তবে আট বছরেও প্রতিশ্রুত অর্থের সামান্যই পাওয়া গেছে। তাই কিছু টাকা খরচের পর বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া সেই প্রকল্প ফিরছে নতুন রূপে। 

আগের দফায় উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুত সাহায্য পেলেও নতুন প্রতিশ্রুতির ওপর ভর করে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প হাতে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে আগের চেয়ে প্রকল্পের খরচ নামছে ৬ ভাগের ১ ভাগে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন, ‘স্বপ্ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। যদিও তাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এখন দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে। এবার অর্থায়নের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। তবে আমরা যে পরিমাণ আশা করছিলাম সে অনুপাতে পাইনি।’

জানা গেছে, উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন) প্রকল্পে মোট ব্যয় ছিল ৮৫৩ কোটি টাকা। এতে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), সুইডেন দূতাবাস সিডা, এসডিজিএফসহ (স্পেন) কয়েকটি সংস্থার কাছ থেকে ৬৪০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার কথা ছিল। 

তবে বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে ইউএনডিপি থেকে সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। অন্য কোথাও থেকে সাহায্য না পাওয়ায় প্রকল্পটি শেষ করে দেওয়া হয়। প্রকল্পে ব্যয় হয় মাত্র ১৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

জানা গেছে, প্রথম প্রকল্পের আওতায় দেশের অতিদরিদ্র ও দুর্যোগপ্রবণ ২২টি জেলার ১ হাজার ৩০টি ইউনিয়নের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত ৬৪ হাজার ৯৮০ জন নারী উপকারভোগী সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আট বছরে পেয়েছেন পাঁচ জেলার মাত্র ১২ হাজার ৪৯২ জন নারী। এ সময়ে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় তিনবার।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অতীত অভিজ্ঞতা সুখের না হওয়ায় এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প ছোট করে নেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হচ্ছে মাত্র ১৪৮ কোটি টাকা। যা আগের প্রকল্পের ৬ ভাগের ১ ভাগ। এ টাকার মধ্যেও ইউএনডিপি, ম্যারিকো বাংলাদেশ, সুইডেনের কাছ থেকে ৬৮ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদানের আশা করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

পিছিয়ে পড়া ১২টি জেলার ৩২ উপজেলার ২৮৩ ইউনিয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে এসব এলাকার ১০ হাজার ১৮৮ জন নারীর কর্মদক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

নতুন প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে দেখা যায়, নারীদের রাস্তাঘাট মেরামত, বাঁধ সংস্কার, মাটি ভরার ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত করা হবে। এজন্য দিনে ২৫০ টাকা মজুরি দেওয়া হবে। তার মধ্যে ৫০ টাকা সঞ্চয় করতে হবে, যা দিয়ে লাভজনক সমবায় সমিতি গঠন করা হবে। প্রত্যেক উপকারভোগীকে একটি করে ১ হাজার ২৫০ টাকা দামের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেওয়া হবে। উপকারভোগীদের জীবনমান উন্নয়নকল্পে জীবন দক্ষতাবিষয়ক ৬টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। স্থানীয়ভাবে লাভজনক আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে জীবিকা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

এ ছাড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে সঞ্চয়ের মনোভাব সৃষ্টি ও আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগের লক্ষ্যে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘূর্ণায়মান সমিতি গঠন ও পরিচালনা। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। উপকারভোগীদের মধ্যে ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা পলিসি চালু করা এবং শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের স্থানীয় দর্জিবাটিক/হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত করে উপকারভোগীদের আগ্রহ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের শতভাগ রপ্তানিনির্ভর তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত শিল্প-কারখানায় আনুষ্ঠানিক নিয়োগ প্রদান করা হবে।

স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে একই ধরনের কাজ আগে হলেও এ প্রকল্পের জন্য সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে পরামর্শক খাতে। বিভিন্ন সেমিনারের জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। এনজিওর মাধ্যমে মনিটরিংয়ে ব্যয় হবে ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর সড়ক মেরামতে ৭৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং প্রশিক্ষণে ২৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের স্কাইসোয়াম উইংয়ের যুগ্ম প্রধান আশরাফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ায় আবারও স্বপ্ন প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির পিইসি সভা হয়েছে। এই প্রকল্পটি নারীদের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখে। প্রকল্পটির মাধ্যমে নারীদের বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যা নারীদের স্বাবলম্বী করবে।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা