× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিদেশি ঋণ নিয়ে জ্বালানি সংকট মেটানোর চেষ্টা

আসিফ শওকত কল্লোল

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩ ০৮:৪২ এএম

আপডেট : ১৫ জুন ২০২৩ ০৮:৫০ এএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

দেশের জ্বালানি সংকট ও সরকারি ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) গ্রুপের সদস্য আন্তর্জাতিক ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) কাছ থেকে অতিরিক্ত ৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা (৯০০ মিলিয়ন ডলার) ঋণ নিতে যাচ্ছে সরকার। (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে)।

এর আগে প্রাথমিকভাবে আইটিএফসি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ১৫ হাজার ১২০ কোটি টাকার (১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার) একটি বার্ষিক অর্থায়ন পরিকল্পনা করেছিল। অতিরিক্ত ঋণসহ আগামী অর্থবছরে ২৪ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা (২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার) ঋণ নিতে যাচ্ছে সরকার।

এই ঋণ পরিশোধিত জ্বালানি তেল, গ্যাস ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি স্থিতিশীল রাখতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ব্যবহার করা হবে। সম্প্রতি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংককে মতামতের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে।

এরই মধ্যে আইটিএফসি দেশের জ্বালানি খাতে ডলার সংকট মোকাবিলায় এই আর্থিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। জ্বালানি বিভাগ সংস্থা তিনটিকে বলেছে যে, আইটিএফসির সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তি সংশোধন করা যেতে পারে বা অতিরিক্ত ঋণের জন্য একই শর্তে একটি সম্পূরক চুক্তি করা যেতে পারে।

বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় প্রাথমিকভাবে জেদ্দায় আইটিএফসি সদর দপ্তরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের জন্য একটি বার্ষিক অর্থায়ন পরিকল্পনা স্বাক্ষর হয়। এই তহবিল জুলাই ২০২৩ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত সময়ের জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) মাধ্যমে জ্বালানি পণ্য আমদানির সুবিধার্থে ব্যবহার করা হবে।

তবে চিঠিতে বলা হয়েছে, এ ঋণ দিয়েই সংকট মোকাবিলা করতে পারবে না। সুতরাং পরিস্থিতি যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে বহুজাতিক ঋণদাতার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া জ্বালানি সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বলতে অতি দ্রুত দেশের ভূখণ্ড ও বঙ্গোপসাগরে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে জ্বালানি পণ্য কিনলে কোনো সুফল বয়ে আসবে না।

সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে স্বাক্ষরিত ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির মধ্যে আইটিএফসি সর্বোত্তম প্রচেষ্টার ভিত্তিতে ১ বিলিয়ন এবং আকস্মিকতার ভিত্তিতে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। এই ঋণের মেয়াদ বিতরণের তারিখ থেকে ছয় মাস এবং সুদের হার দুই-শতাংশ। ইআরডি অরেয়াতি ঋণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিকে এরই মধ্যে ঋণ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে।

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইটিএফসি জ্বালানি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের জন্য এ পর্যন্ত ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ অনুমোদন করেছে। এই ঋণ এরই মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে।

দীর্ঘস্থায়ী কৌশলগত উন্নয়ন অংশীদারত্ব এবং অপারেশনাল সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে বিপিসি পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে অর্থায়নের জন্য আইটিএফসির সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির ধারাবাহিকতায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়াও আরও ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া পেট্রোবাংলা দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানিতে অর্থায়নের জন্য আইটিএফসি থেকে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধার অনুরোধ করেছে।

জ্বালানি বিভাগ এই তিন সংস্থাকে বলেছে, আইটিএফসির সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তি সংশোধন করা যেতে পারে বা অতিরিক্ত ঋণের জন্য একই শর্তে একটি সম্পূরক চুক্তি করা যেতে পারে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত ঋণে বাংলাদেশ ব্যাংককে সহ-অর্থদাতা হিসেবে অংশ নিতে হতে পারে।

দেশে বর্তমানে ব্যাপক জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ স্থানীয় সরবরাহকারীরা বকেয়ার কারণে কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে অনেক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সীমিত বা বন্ধ হয়ে গেছে। এই মাসের শুরুতে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সংকট আরও তীব্র হয়। ইউনিটগুলো বন্ধ থাকলেও সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ ঠিকই দিতে হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা