প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩ ১৯:৩৬ পিএম
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট এবং আয়কর আইন (আইটিএ) ২০২৩-এর খসড়া নিয়ে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কার্বোনেটেড পানীয় শিল্পের (বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি) ন্যূনতম কর ১ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)। বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট এবং আয়কর আইন (আইটিএ) ২০২৩-এর খসড়া নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফিকির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘নতুন অর্থবছরে কার্বোনেটেড পানীয় শিল্পের ন্যূনতম কর দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মোট প্রাপ্তির ৫ শতাংশ বা ৮ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে কোমল পানীয়ের দাম বাড়বে ৩০ শতাংশেরও বেশি। এ খাতে ইতোমধ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ পরোক্ষ কর দিতে হয়, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। তাই কার্বনেটেড বেভারেজে ন্যূনতম ১ শতাংশ কর আরোপের দাবি জানাই।’
ফিকি সভাপতি বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য বড় বরাদ্দের প্রশংসা করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, কৃষি এবং শিক্ষা খাতে বরাদ্দের অপ্রতুলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ফিকি। অন্যদিকে খসড়া আয়কর আইন (আইটিএ) ২০২৩-এর বিধানগুলোর গভীর ও বিস্তৃত পর্যালোচনা করা প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছি। কারণ এই আইনের কিছু বিধান আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর বিবেচনায় অযৌক্তিক। আমরা আশা করেছিলাম নতুন আইনে ন্যূনতম কর বিধানগুলো ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হবে। তার পরিবর্তে সেগুলো উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
বিদেশি ঋণের সুদের ওপর কর এবং নগদ লেনদেনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশি ঋণের সুদের ওপর করের বিধান উৎপাদন খরচ আরও বাড়িয়ে দেবে। করপোরেট এবং সংস্থাগুলোর জন্য নগদ লেনদেন সীমিত করা দেশের উন্নয়নকে সীমাবদ্ধ করবে, কারণ বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি নগদহীন লেনদেন করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। সরকারের উচিত কোম্পানিগুলোর নগদ লেনদেনের জন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণ না করে তার খরচের ন্যূনতম ব্যয় করার অনুমতি দেওয়া। যেন পরবর্তী পাঁচ বছরে ধীরে ধীরে তারা শতভাগ নগদহীন লেনদেনের লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফিকির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি দিপাল আবেইউক্রেমা, নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবীর প্রমুখ।