প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৫২ পিএম
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:০৪ পিএম
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা ৬০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট দেবে বলে আশা করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে এটা আলোচনার পর্যায়ে আছে, এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমি সরকারের একটা দায়িত্বে আছি তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতি ডলার সমান ১০০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাইকার আবাসিক প্রতিনিধি ইয়ো হায়াকাওয়ার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাইকার নতুন প্রতিনিধি ইচিগুচি টমোহাইড এক সপ্তাহ আগে যোগ দিয়েছেন। তিনিও মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাজেট সাপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার বাজেট সহায়তা চেয়ে কিছু আভাস দিয়েছে। এটা প্রক্রিয়াধীন আছে যা আগামীতে ইতিবাচক বলে মনে হয়েছে। তবে সবার কিছু আইন-কানুন আছে এগুলো মেনেই কাজ করতে হবে। আমার বিশ্বাস সব প্রসেসিং হওয়ার পর আমরা বাজেট সাপোর্ট পাব।
তিনি বলেন, এটা আলোচনার জন্য সঠিক জায়গা নয়। এটা নিয়ে কাজ করবে ইআরডি, তবে যেহেতু সরকারে আছি, মন্ত্রণালয়ে উঠেছি, সুতরাং আলোচনা করেছি। পরিবেশটা অনেক ইতিবাচক। জাইকা আমাদের ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা দেবে।
তিনি আরও বলেন, আড়াইহাজারে জাপানি অর্থায়নে ইকোনোমিক জোন হচ্ছে, এখানে কাজ করতে চায় জাইকা। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রকল্পটি দ্রুত সময়ে একনেক সভায় উঠবে। মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুতে জাপান কাজ করছে।
সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা আরও আগ্রহী। এ খাতে জাইকা কাজ করতে ইচ্ছুক। আমরা আমাদের নৌবন্দরগুলোতে আরও কাজ করতে চাই। অবকাঠামো খাতে জাইকা বেশি কাজ করতে চায়। তারা রেল, সমুদ্র খাত নিয়ে কাজ করতে চায়।
প্রবা/রনি/ এসআর