বেড়া (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৩ ১৩:৪৯ পিএম
পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় উন্নতজাতের গরু পালন করা হয়। প্রবা ফটো
গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু পালন ও দুধ উৎপাদনে খরচ বেড়েছে বেড়া ও সাঁথিয়ার খামারিদের। তাই দুগ্ধ শিল্প রক্ষায় গো-খাদ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন খামারিরা। গত ছয় মাসে গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় ৪০০ বিস্তীর্ণ গো-চারণভূমিতে উন্নতজাতের লক্ষাধিক গরু পালন করা হয়। এসব গরুর আয়ের ওপর নির্ভরশীল প্রায় দেড় লাখ পরিবারের জীবন-জীবিকা। তাদের উৎপাদিত প্রায় দুই লাখ লিটার খাঁটি তরল দুধ সংগ্রহ করে সরকারি সমবায় প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক, আড়ংসহ বিভিন্ন দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান। মূলত তাদেরই বেঁধে দেওয়া দামে খামারিদের কাছ থেকে দুধ কিনে থাকেন।
খামারিদের অভিযোগ, গো-খাদ্যের উচ্চমূল্যসহ দুধ উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধিকে বিবেচনায় না নিয়ে খামারিদের সব সময় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত করছে এসব প্রতিষ্ঠান। এ কারণে দিন দিন গরু পালনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন তারা।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের চরাচিথুলিয়া গ্রামের খামারি টিক্কা খান জানান, সরকারি দুগ্ধ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকারী সমবায় প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটাসহ বিভিন্ন বেসরকারি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান খামারিদের কাছ থেকে ৪ দশমিক শূন্য স্ট্যান্ডার্ড ননীযুক্ত তরল দুধ বোনাসসহ ৪৩-৪৮ টাকায় কিনে নেন। প্রথমেই সেই দুধ থেকে তারা আংশিক ননী তুলে নেন। পরে ৩ দশমিক ৫০ স্ট্যান্ডার্ড ননীযুক্ত তরল দুধ প্যাকেটজাত করে ৮৫ টাকা দরে বাজারজাত করেন। প্রতি লিটার দুধ থেকে শূন্য দশমিক ৫০ স্ট্যান্ডার্ড ননী তুলে ঘি তৈরি করা হয়। এতে প্রতি লিটার দুধে লাভ হয় ৩৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি লিটার দুধ থেকে তুলে নেওয়া ননী থেকে প্রায় ৪০ গ্রাম ঘি উৎপাদিত হয়, যার মূল্য ৫০ টাকা। সব মিলে দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি লিটার দুধ থেকে শুধু লাভই করছে ৮৫ টাকা।
বেড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলায় বর্তমানে গো-চারণভূমি ও ঘাসের প্রোডাকশন কম, তাই গো-খাদ্যের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। সরকার ভর্তুকি দিলে হয়তো দাম কমে যেতে পারে।