প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩ ১৫:০২ পিএম
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩ ১৫:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট, মূল্য বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে শুধু পরিবহন খাত নয়, দৈনন্দিন জীবনে সর্বত্রই জ্বালানি সাশ্রয়ের তাগিদ বাড়ছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে জার্মানির উদ্যোক্তা কর্নেলিউস পাউল এক অভিনব উপায় বের করেছেন।
তিনি একেবারে নতুন ধরনের সোলার মডিউল তৈরি করেছেন, যেগুলো সাধারণ টাইলের মতো ভবনের সুরক্ষাও নিশ্চিত করে। সেই টাইল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। যতক্ষণ সূর্যের আলো থাকে, তত সময় ধরে এক পরিবারের চাহিদার তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
এই সোলার টাইলের উদ্ভাবক কর্নেলিউস পাউল বলেন, ‘আমরা সহজ হিসাব করতে পারি। ছাদের ওপর এক হাজার টাইলের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ১০ কিলোওয়াট। জার্মানির কোনো জায়গায় বছরে প্রায় ৯ হাজার কিলোওয়াট, কোথাও বা ১০ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। অন্য বিষয়টি হলো, প্রায় ২০ বছরে সেই টাইল কেনা ও বসানোর ব্যয় উঠে আসার কথা।’
এই ভবনে সোলার টাইল বসাতে প্রায় ৪০ হাজার ইউরো খরচ হয়েছে। সাধারণ ছাদের ওপর আলাদা করে সোলার প্যানেল বসানোর খরচের তুলনায় সেই অঙ্ক বেশ কয়েক হাজার ইউরো বেশি।
পথিকৃৎ হিসেবে বিপ্লবীদের সব সময় সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তার উদ্ভাবনী টাইল উৎপাদনের জন্য এখনও অনেক কাজ করতে হয়। ফলে জার্মানির পূর্বাঞ্চলে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদনের ব্যয়ও বেড়ে যায়।
আরেকটি বাধা হলো, তার নতুন পণ্যকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য হতে হবে, যাতে কয়েক দশক বিঘ্ন ছাড়াই টাইল মজবুত থাকতে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চালিয়ে যেতে পারে। কর্নেলিউস বলেন, ‘সোলার মডিউল, তার ওপরের সোলার ল্যামিনেট প্রথাগত প্রক্রিয়ায় তৈরি করা। তবে উপাদান হিসেবে পরীক্ষিত হওয়ায় আমার মনে কোনো দুশ্চিন্তা নেই।’
সম্প্রতি রোবটও কাজে লাগানো হচ্ছে। ফলে কর্নেলিউস আরও বেশি পরিমাণে এবং আরও সস্তায় উৎপাদন করতে পারছেন। দামি সরঞ্জাম কেনার সামর্থ্য নিশ্চিত করতে তিনি বিনিয়োগকারীদের নিজের কোম্পানির অংশীদার করেছেন। এভাবে নতুন কোম্পানির প্রতি আস্থা আদায় করতে পেরেছেন তিনি।
কর্নেলিউস পাউল বলেন, ‘২০১১ সালে আমরা মাত্র তিনজনকে নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। এখন প্রায় ৭০ জন কর্মী সক্রিয় রয়েছেন। গত বছর আমাদের টার্নওভার দ্বিগুণ হয়ে ৫০ লাখ ছুঁয়েছে। চলতি বছর আমরা সেটা পাঁচ বা ছয় গুণ করতে চাই।’ সূত্র: ডয়চে ভেলে