প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩ ১৮:০৩ পিএম
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৩ ১৮:২৪ পিএম
প্রবা ফটো
ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ১০০ গ্রাম স্বর্ণ আনার সুযোগ দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তাদের দাবি, বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনার সীমা নামিয়ে আনতে হবে ৫০ গ্রামে। এতে করে স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় জুয়েলারি শিল্পের দিকে ক্রেতাসাধারণ আকৃষ্ট হবে।
এ ছাড়া স্বর্ণ ও রুপার অলংকার বিক্রিতে আরোপিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (৫ জুন) রাজধানীর পান্থপথের বাজুস কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাজুসের সহসভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাজুস সব সময় স্বর্ণ বিক্রেতা ও ক্রেতাসাধারণের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে আসছে। তাই ক্রেতাসাধারণ ও বিক্রেতাদের সুবিধার দিকে দৃষ্টিপাত করে। ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে গয়না আনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ১০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করছি। এতে করে স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় জুয়েলারি শিল্পের দিকে ক্রেতাসাধারণ আকৃষ্ট হবে। স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের বাঁচানোর স্বার্থে এটা সময়ের দাবি।’
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে তৈরি গয়না স্থানীয় ও বিশ্ব বাজারে সমানভাবে সমাদৃত হয়ে থাকে। তাই স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের টিকিয়ে রাখার জন্যে সরকারের এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা মনে করি।’
ভ্যাট প্রসঙ্গে বাজুসের সহসভাপতি বলেন, ‘জুয়েলারি ব্যবসার ক্ষেত্রে স্বর্ণ, স্বর্ণের অলংকার, রুপা বা রুপার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হোক। স্বর্ণের অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ক্রেতাসাধারণের ওপর বোঝা হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। ফলে অধিকাংশ ক্রেতা ভ্যাট প্রদানে অনীহা প্রদান করেন। যার প্রভাব পড়ে রাজস্ব আয়ে।’
তিনি বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকারের প্রয়োজন রাজস্ব আয়ের নতুন উৎস খোঁজা। জুয়েলারি শিল্প বাজেটের ঘাটতি মেটাতে অনেকাংশেই সাহায্য করতে পারে, যদি এই খাতের ওপর আরোপিত ভ্যাটের হার কমানো হয়।’
বাজুসের প্রস্তাবগুলো নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি রেখে বাজুস প্রস্তাব করছে আংশিক পরিশোধিত সোনার ক্ষেত্রে সিডি ১০ শতাংশের পরিবর্তে আইআরসিধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের জন্য শুল্কহার ৫ শতাংশ করা হোক। এ ছাড়া অপরিশোধিত আকরিক সোনার ক্ষেত্রে আরোপিত সিডি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আমদানি শুল্ক শর্তসাপেক্ষে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছে বাজুস।’
সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের পক্ষ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ১১টি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি করা হয়। এ সময় বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহসম্পাদক ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সমিত ঘোষ অপু, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব পবন কুমার আগরওয়াল উপস্থিত ছিলেন।