প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ২১:৪৮ পিএম
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) বাজেট-পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলন। ছবি : সংগৃহীত
বাজেটে ভর্তুকি দেওয়া থেকে সরকার ধাপে ধাপে বের হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) বাজেট-পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটে সিলেক্টিভ কিছু খাতে ভর্তুকি থাকবে। কৃষিতে ভর্তুকি চলমান থাকবে। ভর্তুকি থাকবে খাদ্য ও রেমিট্যান্সের ওপরও। সরকারের ভর্তুকি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত অবশ্যই যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছি।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হবে। দেশীয় উৎপাদন কার্যক্রম বৃদ্ধি করে নির্দিষ্ট কিছু পণ্য আমদানিতে মনোযোগী হতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য বাজারব্যবস্থাকে ঠিক রাখতে হবে। যেসব পণ্য আমদানিনির্ভরÑ তার ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে হলেও নিত্যপণ্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে হবে। এ ছাড়া বাজেটে খাতভিত্তিক বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কি না অর্থাৎ সুশাসন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে কি নাÑ সেদিকে নজর দিতে হবে।’
এ সময়ে এমসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘জ্বালানির সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য না কমালে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়ার শঙ্কা তৈরি হতে পারে। তাই নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের ওপর জোর দিতে হবে।’
আর এমসিসিআইয়ের পরিচালক আদিব এইচ খান বিদেশি ঋণের ওপর সুদ নিয়ে বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশি ঋণের সুদের ওপর কর যোগ হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে বিদেশি ঋণ পরিশোধের সময়ে সুদের বিপরীতে কর দিতে হবে ব্যবসায়ীদের। সুদ-কর ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়িয়ে দেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ টিআইএন নিয়ে বলেন, ‘টিআইএনধারীদের ওপর দুই হাজার টাকা করে কর দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। যার আয় নেই সে কেন কর দেবে। এ বিধান ট্যাক্স আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।’