প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ২১:২৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্ববাজারে ওঠা-নামার মধ্যেই রয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। চাহিদা কম থাকায় ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম নেমে এসেছে ৭০ ডলারে। ফলে প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের জোট ওপেক প্লাস।
রাশিয়ার এবং মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস বিশ্ববাজারে সরবরাহকৃত মোট জ্বালানি তেলের ৪০ শতাংশ সরবরাহ করে। ফলে সংগঠনটির এমন সিদ্ধান্ত জ্বালানি তেলের বাজারে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওপেক প্লাস সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতিদিন জ্বালানি তেল উৎপাদনের পরিমাণ ১০ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এর আগে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমায় ওপেক প্লাস। এমনকি গত এপ্রিলেও প্রতিদিন ১৬ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদন কমায় সংগঠনটি।
গতকাল শনিবার আলোচনায় বসেছিলেন ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীরা। আজ রবিবার উৎপাদন কমানোর বিষয়ে ভিয়েনায় আবার আলোচনায় বসছেন তারা। যদি সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয় তাহলে প্রতিদিন মোট ৪৬ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদন কমে আসবে ওপেক প্লাসের। যদিও দুটি সূত্র বলছে, ওপেক প্লাস হয়তো এ সিদ্ধান্তে সম্মত হবে না।
তবে ভিয়েনায় পৌঁছে ইরাকের তেলমন্ত্রী হায়ান আবদেল-ঘানি বলেন, ‘তেলের বিশ্ববাজারে আরও ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করব না।’
এদিকে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) থেকে ব্যাংকঋণে আবারও সুদের হার বাড়ানোর সম্ভাবনায় এখনও উদ্বিগ্ন তেল ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও চীনের ধারাবাহিকতাহীন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণে বাজারে একধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। মূলত এর জেরেই তেলের দাম নিম্নমুখী রয়েছে।
অয়েল প্রাইস ডট কম জানিয়েছে, গত এপ্রিলে চীনের শিল্পোৎপাদন বেড়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। অথচ রয়টার্সের অর্থনীতিবিদ জরিপের পূর্বাভাস ছিল, এই প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। গত মাসে চীনের খুচরা বিক্রিতে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ছিল ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা নিয়ে তৈরি সংকটের প্রভাবও বাজারে পড়েছে। সূত্র : রয়টার্স