× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বৈদেশিক ঋণ সহায়তা তলানিতে

জাহিদুল ইসলাম

প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ০৮:৪২ এএম

আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩ ১০:৪১ এএম

বৈদেশিক ঋণ সহায়তা তলানিতে

বৈশ্বিক সংকটে গত চার বছর ধরেই কমছে বিদেশি ঋণ সহায়তার পরিমাণ। সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্বের প্রতিশ্রুত বিদেশি ঋণ ছাড় হয়েছে চার হাজার ৬৩৩ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা হিসাবে যার পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা। 

আর নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে এক হাজার ৫৩৪ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। সদ্য প্রকাশিত ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতির পরিমাণ। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতিশ্রুতি ছিল ৯ হাজার ২১৩ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল আট হাজার ৭৪১ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতিশ্রুতি ছিল সাত হাজার ৭৯২ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি ছিল এক হাজার ৫৩৪ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার।

একই সময়ে ঋণ অবমুক্তির পরিমাণ গত ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদেশি ঋণ ছাড় হয়েছিল ১০ হাজার ২৯৪ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার। যেখানে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্বের প্রতিশ্রুত বিদেশি ঋণ ছাড় হয়েছে চার হাজার ৬৩৩ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৪৪৮ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার ও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৭৪ দশমিক শূন্য চার ডলার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটের আকার বৃদ্ধি ও প্রতিশ্রুতি কমে যাওয়াটা ভবিষ্যতে ঝুঁকি তৈরি করছে। এর ফলে ঘাটতি বাজেট অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আগামী বাজেটগুলো বাস্তবায়নে বেশি ধার করতে হবে।

এ ব্যাপারে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীরা এখন বাংলাদেশের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে খারাপ অবস্থানে থাকা দেশগুলোকে বেশি সহায়তা দিচ্ছে বিধায় বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে। এ ছাড়া প্রতিশ্রুতি হিসেবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ (প্রায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) পাইপলাইনে থাকলেও আমরা সেটি দ্রুত পাচ্ছি না। উন্নয়ন সহযোগীরা যে নতুন প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে, তার পেছনে এটি একটি কারণ হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এলডিসি থেকে আমরা অফিসিয়ালি (স্বল্পোন্নত দেশ) এখন মধ্যম আয়ের দেশে যাচ্ছি। এখন ধীরে ধীরে আমাদের সাহায্য কমবে, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের লোকাল ফাইন্যান্সিং বাড়ানো দরকার। কিন্তু আমাদের ব্যাংক খাতের অবস্থা তো খুবই খারাপ। আমরা বন্ড মার্কেট ডেভেলপ করতে পারিনি। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে বেশি ঋণ নিলে কিংবা টাকা ছাপালে সবাই ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।’

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে রাজস্ব প্রাপ্তি ও বৈদেশিক অনুদান থেকে আসবে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অনুদানসহ দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা ঘাটতি বাজেটের মধ্যে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা আসবে অভ্যন্তরীণ ঋণ থেকে। বাকি এক লাখ দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে।

তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৪৮ দশমিক ৯২ কোটি টাকা অনুদানসহ মোট এক হাজার ৭৮৩ দশমিক ২৮ কোটি টাকা ঋণ প্রাপ্তির অঙ্গীকার ছিল। এই অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্বের প্রতিশ্রুতসহ প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়েছে চার হাজার ৬৩৩ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ডলার টাকা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এ তথ্যে ভুল আছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো কিছুদিন আগে যখন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকে গেলেন তখনই ২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর হলো। এখানে এক দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার হয় কীভাবে? চারটা প্রকল্প আর একটা বাজেট সাপোর্ট। এর আগে তো অনেক অর্থ সহায়তা এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘এই ডেটা যদি ফেব্রুয়ারি পর্যন্তও হয় অর্থাৎ সব দাতার কাছ থেকে মাত্র এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, এই সংখ্যাটা ঠিক নয়। ঠিক হওয়া সম্ভব নয়। চার দশমিক আট বিলিয়ন ডলার অবমুক্তির হিসাবটাও ব্যালেন্স অব পেমেন্টের হিসাবের সঙ্গে মিলছে না। যদিও এ বছর অবমুক্তিটা কমেছে। কিন্তু এতটা কমেছে তা মনে হয় না।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা